আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কাঠা শহরের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়
সোমবার (২২ আগস্ট) সাগাইং পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও কাচিন ইনডেপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সাথে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
কাঠা-পিডিএফের সূত্র জানিয়েছে, ইরাবতি নদীর পূর্ব তীরে বান্ট বিওয়ে গ্রামে নিয়োজিত থাকা ৫০ জন সরকারি সৈন্যের ওপর সোমবার ভোরে যৌথ আক্রমণ চালায় কেআইএ ও পিডিএফ।
এ সময় জান্তা সৈন্যরা নদীর তীরঘেঁষে ৬ টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মান্দালয় অঞ্চল থেকে উত্তর মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে খাবার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন : জাহাঙ্গীরের বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়
দেশটির জান্তা বাহিনীর এই বহরটি গত সপ্তাহেও কাঠায় কেআইএ ও পিডিএফ দ্বারা দু’বার আক্রান্ত হয়েছিল। যুদ্ধবিমান ও পদাতিক বাহিনী তাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তারা এ আক্রমণের শিকার হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপি সোমবারের এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ স্থায়ী হয়।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) কাঠা-পিডিএফের একজন কর্মকর্তা দ্য ইরাবতিকে জানিয়েছেন, শাসকগোষ্ঠীর দুটি যুদ্ধবিমান দ্বারা পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছিল, এ সময় ৯টি বোমা ফেলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : সয়াবিন তেল লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
তবে কেআইএ ও পিডিএফের যুদ্ধারা জান্তা বিমান হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগাম সংবাদ পেয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে কাঠা-পিডিএফ বলেছে, এ যুদ্ধে ৩০ জন জান্তা সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একটি সামরিক রণতরী দিয়ে আহত ও নিহতদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী। এ সংঘর্ষে বিদ্রোহী ৪ জন যোদ্ধা সামান্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মার্কিনিদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ
গত শনিবার সাগাইংয়ে আরেক সংঘর্ষে ছয়জন জান্তা সৈন্য ও চারজন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই জান্তা বাহিনী দেশজুড়ে পিডিএফ ও অন্যান্য সশস্ত্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হচ্ছে। সূত্র : দ্য ইরাবতি।
সান নিউজ/এইচএন