ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি শ্মশান ঘাটে এক বৃদ্ধার মরদেহ দাহ করার পুর্বে জীবিত সন্দেহে পুরো শ্মশানঘাট এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মুহুর্তেই সেখানে গণমাধ্যমকর্মী এবং উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ছুটে যায় সেখানে।
আরও পড়ুন : টেকনাফে ৩ বনকর্মী নিখোঁজ
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঝালকাঠি পৌর শশ্মানে এ ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠি জুয়েলারী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরাণ কর্মকার বলেন, তাদের সমিতির সদস্য মেঘা জুয়েলার্সের মালিক শান্তি কর্মকারের মা সাধনা রানী রায় (৮৫) শনিবার সকাল ৭ টায় পোষ্ট অফিস রোডস্থ নিজ বাস ভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন। দুপুর ১টার দিকে তাকে দাহ করার জন্য পৌর শশ্মানে নেয়া হয়। শশ্মানের গেটে নেয়ার পর নিহত সাধনা রানীর নাতনী মেঘা কর্মকার উপস্থিত ম্বজনদের বলেন তার দাদুর শরীর গরম, সে হয়তো জীবিত আছে। তারপর নিহত বৃদ্ধাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
নিহতের জামাতা বাবুল কর্মকার জানান, হাসপাতাল থেকে তার শাশুড়িকে আবারো শশ্মানে নিয়ে যায় স্বজনরা। কিন্তু মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়েছে এমন খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকরা শশ্মানে ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন : ভোলায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঐ বৃদ্ধার ইসিজি এবং পালস পরীক্ষা করেন। বৃদ্ধা সাধনা রানী অনেক আগেই মারা গেছে বলে স্বজনদের জানিয়ে দেয় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঐ সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল।
এদিকে সাধনা রানীর মৃত্যু নিশ্চিত হতে শশ্মানঘাটে ছুটে যান সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যল অফিসার (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি এবং কনসালট্যান ডা. আবুয়াল হাসান।
সেখানে তারা সাধনা রানীর পালস এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন। তারাও উপস্থিত সকলকে সাধনা রানী মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : বাস চাপায় পথচারী নিহত
গণমাধ্যম কর্মীদের সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর পর ৩ থেকে ৫ ঘন্টা মহদেহ গরম থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সাধনা রানী মৃত।
সান নিউজ/জেএইচ