বিনোদন ডেস্ক: অভিনয়কে কেন্দ্র করেই যার দিনপার হতো নায়করাজ রাজ্জাকের। তিনি তার জীবনের ৫০ বছরের অধিক সময় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। আজ কিংবদন্তির এই অভিনেতার প্রয়াণ দিবস।
আরও পড়ুন: অবশেষে নিষিদ্ধ অভিনেত্রী চমক!
নায়করাজ রাজ্জাক অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনাও করতেন। তার ছেলেদেরকেও এনেছিলেন এই জগতে।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তির। তার প্রয়াণ জীবনে ৬ বছর পার হয়ে গেল। তিনি আমাদের মাঝে নেই ঠিকই, কিন্তু বেঁচে আছেন ভক্ত-দর্শকের তথা আপামর জনতার শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায়। তার কর্মগুণে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন সবার মনে।
আজ তার প্রয়াণ দিবস স্মরণে বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নায়ককে স্মরণ করে পোস্টও করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সিনেমার ঘোষণা দেবেন পূজা!
এছাড়া নিজের হাতে গড়ে যাওয়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও আয়োজন থাকছে।
সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক জানান, সোমবার বাদ আসর তার স্মরণে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন সমিতির অনেক নেতা-সদস্যরাও। সবাই মিলে দোয়া করব নায়করাজ রাজ্জাকের জন্য।
পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: দোয়া চাইলেন তমা মির্জা
নায়করাজের ছেলে সম্রাট জানান, আমার বাবার জন্য শুধু একটু দোয়া চাই সবার কাছে। আর কিছু নয়।
নায়করাজ আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। দেশ ভাগের সময় তিনি ঢাকায় চলে আসেন। কলকাতায় থাকাকালীন সময় অভিনয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন এই নায়ক। সপ্তম শ্রেণিতে মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবনে পথ চলা শুরু।
১৯৬৬ সালে বাংলাদেশে আসার পর তার সিনেমা জীবন শুরু হয়। ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমাটিতে ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে প্রশংসায় ভাসালেন সোমি
এরপর জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন নায়করাজ।
রাজ্জাক ৩ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বাংলার পাশাপাশি উর্দু সিনেমাও কাজ করেছিলেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘বেহুলা’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’ এবং ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: কারাদণ্ড পেলেন ইরানি পরিচালক
অভিনয়ের পাশাপাশি ১৬ টি সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন রাজ্জাক। তিনি নিজের ২ পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাটকেও সিনেমা জগতে এনেছেন। তারাও অভিনয়ের মাধ্যমে সুনাম ছড়িয়েছেন।
জীবনে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে প্রায় সবই ছিল।
২০১৫ সালে নায়করাজ রাজ্জাক দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। এরপর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাচসাস, বাবিসাস ও মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারেও তাকে আজীবন সম্মাননা জানানো হয়।
সান নিউজ/এমএ/এনজে