নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর: গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে বাসে পরিচয় হয় চালকের সহযোগী সাগর শেখের সঙ্গে। মোবাইল ফোনে দু'জনের বন্ধুত্বও হয়। এরপর ফোন করে ডেকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ৩ বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তরুণীর গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে নেয় তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের এক পোশাকশ্রমিক তরুণীর (১৯) সাথে। ধর্ষণের পর বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় ওই তিন জন পালিয়ে যায়। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক এলাকায় আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে তরুণী বাড়ির মালিক আনোয়ারা বেগমসহ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় বাস চালকের সহযোগী ও মামলার প্রধান আসামি সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাগর রাজবাড়ি সদরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওই তরুণী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মোবাইল ফোনে দু'জনের বন্ধুত্ব হয়। এরপর রোববার সন্ধ্যায় বাঘের বাজার এলাকায় সাগরের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই তরুণী। সাগর সঙ্গে নিয়ে আসে তার বন্ধু বাবু ও নাজমুলকে। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তরুণীকে পার্কের পাশে আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। ওই বাড়ির একটি ঘরের ভেতর আটকে রেখে ৩ বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তরুণীর গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয় তারা। তরুণী চিৎকার শুরু করলে আনোয়ারা বাইরে থেকে দরজা খুলে ওই তিন জনকে বের করে দেয়।
শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ওই তিন জনকে গ্রেফতার করতে রাতেই অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার ভোরে এমসি বাজার এলাকা থেকে বাস চালকের সহযোগী ও মামলার প্রধান আসামি সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সান নিউজ/ আরএস