নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রীতম রুদ্র নামে এক যুবক। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সারোয়া আহমেদের আদালতে শিশুটিকে হত্যার বিভৎস হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেয় প্রিতম।
প্রীতম রুদ্র (২৭) খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া বীণাপানি ভবনের মালিক প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ছাদে ওঠায় প্রিতম। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার করে। কিন্তু এর এক পর্যায়ে প্রীতম শিশুটির মাথায় ভারিবস্তু দিয়ে আঘাত করলে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় প্রিতম শিশুকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে প্রিতম লাইলোনের দড়ি ও পরনের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
দৌলতপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে প্রীতম জানায়, হত্যার পর বস্তায় ভরে শিশুর লাশ প্রথমে গ্যারাজে সিমেন্টের বস্তার পাশে ও পরবর্তীতে গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিউটি পার্লারের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত নয় বলে সে স্বীকার করেছে।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে স্কুল ওই ছাত্রী খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে ৬ দিন নিখোঁজ ছিলো। পরে ২৮ জানুয়ারি প্রিতমদের নিজ বাড়ি বীণাপানি ভবনের বাথরুমের ভিতর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়। এরপর পুলিশ প্রিতমসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। শুক্রবার রাতে প্রিতমকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে ওসি জানান।
সান নিউজ/কেএ/এনকে