কোম্পানীগঞ্জে ইউএনওর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ - রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন
সারাদেশ

কোম্পানীগঞ্জে ইউএনওর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.খোরশেদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষের নেতাকর্মিদের মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন।

আরও পড়ুন : র‌্যাগ ডে’র নামে অশ্লীলতা বন্ধের নির্দেশ

গতকাল শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামপুর ইউনিয়নের দফাদার ও চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা এবং ইউএনওর হটকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উপজেলার বামনী বাজারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন অভিযোগ করেন।

ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে সালেকিন রিমন বলেন কোন ব্যক্তির তাবেদারি করবেননা। আপনি সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণকে সেবা দিতে এসেছেন। আপনি ন্যায় সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিবেন। এখানে এসে যাচাই বাচাই করে সিদ্ধান্ত দিবেন।

এর আগে আপনি কোন ব্যক্তির ইশারায় এখানে যদি কোন হটকারি সিদ্ধান্ত দেন রামপুরের জনগণ তা মোকাবেলা করবে ইনশাআল্লাহ। টাকা খেয়ে দালালি করবেননা। জনগণকে অশান্তির মধ্যে ফেলবেননা।

আরও পড়ুন : মারিওপোলের পরিস্থিতি ভয়াবহ

এ সময় তিনি ইউএনওর প্রতি সাত দিনের মধ্যে নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। মুছাপুর ইউনিয়নে ক্লোজরে ৬০০ থেকে ৭০০ একর সরকারি খাস জমি ভূমি দস্যুরা দখল করে নিয়েছেন। কই আপনিতো সেটার ব্যবস্থা নিলেন না। কার নির্দেশে সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি এটা ওবায়দুল কাদেরের এলাকা। আপনার এখানে চাঁদাবাজি চালানোর সুযোগ নেই। আমি রামপুরের জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। চোরা ভোটে নির্বাচিত চেয়াম্যান নই। যে আপনার হুমকিতে ভয় পেয়ে এখান থেকে চলে যাব। জনগণ আমার সাথে আছে। জনগণকে সাথে নিয়ে আপনার মোকাবেলা করব ইনশআল্লাহ।

দলীয় নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনারা শান্ত থাকবেন। কোন উশৃঙ্খলা-বিশৃঙ্খলায় জড়াবেননা। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে আমরা আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে বয়সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে

এ সময় এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ওই উত্তর দিক থেকে কারো ইশারায় রামপুর চলবেনা। এ রামপুরে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাঁর বিরুদ্ধে জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়বে।

কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিগত দেড় বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কুরুচি অশ্রাব্য ভাষায় এবং ঊনার সহধর্মিণীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়েছিল আব্দুল কাদের মির্জা। তার কারণে সারা বাংলাদেশ ওবায়দুল কাদেরের মত একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের মানসম্মান ধুলায় মিশে গেছে। শুধু মাত্র তাঁর নিজের স্বার্থের জন্য,তাঁর নিজের মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য,তাঁর ফ্যাসিবাদী মানসিকতার জন্য,লুটপাট করার জন্য,চাঁদাবাজি করার জন্য।

আরও পড়ুন : পশ্চিমা অস্ত্রবাহী বিমান ভূপাতিত

ভাগনে সালেকিন রিমনের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন আমি তার বিষয়ে কোন কথা বলতে আমি নারাজ। সেখানে কোন ঘটনা হয়নি। আমাদের ছেলেদের ওপর আক্রমণ করে। উল্টো মিটিং করে ইউএনওকে দোষারোপ করে। আমি কিছু জানিনা। গত তিন মাস আমি কারো বিরুদ্ধেও কথা বলিনা।

গত কয়েক দিন আগে ফেসবুকে লাইভ দিছি। আমি কারো বিরুদ্ধে একটা কথাও বলি নাই। আমি জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কথা বলেছি। আমি এগুলো নিয়ে এখন চিন্তাও করিন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,উনি অনেক মিথ্যা বানোয়াট কথা বলতেছে। এটা উনার যে পদ তা পদের সাথে সাংঘর্ষিক। আমাদের টেন্ডার প্রসেসিং যে নিয়ম সে নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার হইছে। আমরা যাকে ইজারা দিয়েছি তাকে বাজারে ঢুকতে দিচ্ছেনা এবং তাদের সাথে মারধরও হইছে। এ রকম লিখিত অভিযোগ উনার বিরুদ্ধে আমার কাছে দিয়ে গেছে। আমরা সেটা আইন অনুযায়ী তদন্ত করব।

আরও পড়ুন : বিএনপি মুজিবনগর দিবস পালন করে না

ইউএনও বলেন,থানাতে মামলা দিয়ে থাকলে সেটা আমি দেবনা। থানায় মামলা দিবে যে ভুক্তভোগী সে। আমি মামলা দেব কেন। যদি কোন চেয়ারম্যান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে, কোন কাজে স্বার্থ হানিকর কাজে জড়িত থাকে তাহলে তাঁর চেয়ারম্যান পদ থাকেনা।

তিনি বলেন, মুছাপুরে অলরেডি তিনবার অভিযান করেছি। ঘর গুলো ভেঙ্গে দিয়েছি এবং মুছাপুরের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে মেম্বার জড়িত তাকে শোকজ করা হইছে। শোকজের জবাব আসছে। আমরা এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। নতুন করে ঘর উঠলে আমরা সে গুলো ভেঙ্গে দেব।

আরও পড়ুন : বিজয়কে সুসংহত করাই আজকের দিনের অঙ্গীকার

প্রসঙ্গত,গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দোকান ভাঙচুর সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়।

বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে এবং মেয়র কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। অপরদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন অভিযোগ উঠে।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কেশবপুরে নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুর রাজ্জাক সরদার, কেশবপুরঃ আগামী ০৮ ই মে ২০২৪, রোজ বুধবা...

আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টি, নিহত ১৫৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি হ...

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১৮টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ...

মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

জেলা প্রতিনিধি: বিয়ে না দেওয়ায় চা...

রাজধানীতে ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় ঢাকা দক্ষ...

ময়মনসিংহে বাসের চাপায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলায় বা...

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, আহত ২

জেলা প্রতিনিধি : ঢাকা-মাওয়া এক্স...

বিটিএসএফ’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় তৃণমূল সাং...

বিপুল মূল্যের আইসসহ ব্যান্ড শিল্পী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১ কেজি ক্র...

ঠাকুরগাঁওয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কয়েকদিনের টা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা