মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ শহরে মঙ্গলবার (এইচএসসি) ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় মামাতো বোনের প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছে ফুপাতো বোন। এ ঘটনায় বহিস্কার করা হয়েছে মূল পরীক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন: মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৩ সেপ্টেম্বর
মঙ্গলবার (২২আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি দিতে এসে ফুপাতো বোন সাদিয়া আক্তারকে (২২) হাতেনাতে আটক করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম। ঘটনায় তিনি মূল পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তারকে (২০) বহিস্কার করেছেন।
জেসিকা আক্তার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রনছ্ হাওলাদার পাড়া এলাকার জব্বার দেওয়ানের মেয়ে ও আটক সাদিয়া আক্তার একই এলাকার আওলাদ হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে, আটক ৪
ভারপ্রাপ্ত হল সুপার প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম জানান, শহরের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার হচ্ছেন মূল পরীক্ষার্থী। সরকারি হরগঙ্গা কলেজ কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষা হচ্ছিলো। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে বোরকা পরিহিত এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হয়।
পরে তার বোরকা খুলে দেখলে প্রবেশ পত্রের ছবির সঙ্গে অমিল পাওয়া যায়। এতে তাকে আটক করা হয়। তার নাম সাদিয়া আক্তার। সে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী। আটক সাদিয়া আক্তারকে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক সাদিয়া আক্তার জানিয়েছেন মূর পরীক্ষার্থী জেসিয়া আক্তার ও সে সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো বোন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনকারীরা আজীবনের জন্য বহিষ্কার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত জানান মামাতো বোন অসুস্থ থাকায় তিনি পরীক্ষা দিতে আসেন। দুই পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে, পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন