নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখেন, সব শেষ। যে কাপড়গুলো পোড়েনি সেগুলোও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নিউ মার্কেট থানায় ২৭ টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি
রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা থানায় ভিড় করেন।
তাদের একেকজনের একেক ধরনের অভিযোগ। কারও টাকা পুড়েছে, কারও দোকান, কারও এনআইডিসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট। সব মিলে ২৭ টি জিডি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঈদযাত্রা শুরু
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল গনি সাবু জানান, আগুনের ঘটনায় দেখেছেন নিউ মার্কেট থানা পুলিশ কি পরিমাণ সহযোগীতা করেছে।
ফায়ার সার্ভিস আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর পুলিশের জিম্মায় মার্কেটের নিরাপত্তার দায়িত্ব অর্পন করে গেছে। সব মিলে ২ দিন খুবই ব্যস্ততা গেছে।
আরও পড়ুন : ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ৩১ টি ইউনিট। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় প্রণোদনার চেয়ে দ্রুত মার্কেটে ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন : বিএনপির নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র চলছে
ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে, সে বিষয়ে আমাদের ধারণা আছে। তা ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা, দোকানের সংস্কার কাজও করতে পারব না। তাই ব্যবসায়ীদের বাচাঁতে দ্রুত মার্কেটে ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। তা না হলে সব সম্পত্তি বিক্রি করেও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারব না।
আরও পড়ুন : আর সহ্য করা হবে না
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিস জানায়, মার্কেটটির ফায়ার সেফটি সিস্টেম অত্যন্ত দুর্বল ছিল। সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসায়ীরা করিডোরে আরও ২-৩ টি সাব দোকান দিয়েছিলেন। যার কারণে করিডোরগুলো খুবই সংকীর্ণ হয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে আগুন ছড়িয়েছে।
এছাড়া মার্কেটের ফলস ছাদ, উপরে প্লাস্টিক আইটেম ও ব্যানার-পোস্টারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসব ব্যানারের বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার।
সান নিউজ/এনজে