মতামত

স্বপ্ন যখন উৎপাদকের দেশ হওয়া

অজিত কুমার সরকার
একজন রাষ্ট্রনেতা যদি দূরদর্শী ও স্বপ্নচারী হন, তার প্রকাশ দেখা যায় রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন উদ্যোগ, নীতি, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের মধ্যে। এতে প্রতিফলিত হয় দেশের উন্নয়নের ভাবনাগুলো।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক একটি খাতের সম্প্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগ, সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের কার্যক্রমগুলোর দিকে তাকালে বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর ভাবনাগুলো যে কতটা সুচিন্তিত ও সুদূরপ্রসারী ছিল তার প্রকাশ দেখা যায়। তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ায় তিনি কতটা ব্রতী ছিলেন সে মনোভাবেরও বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।

সদ্যঃস্বাধীন দেশ। চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ। এই সময়ে দেশ পুনর্গঠন এবং মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করাই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। অথচ মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ, আর্থ-রিসোর্স টেকনোলজি স্যাটেলাইট (ইআরটিএস) প্রগ্রাম বাস্তবায়ন এবং বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের আর্থ-স্টেশন স্থাপন করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। শুধু তা-ই নয়, প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার অন্তর্ভুক্তকরণ এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এসব কার্যক্রম মূলত বাংলাদেশের ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হওয়া ও জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিনির্মাণের ভিত রচনা করে। আলোচ্য প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল বা প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদকের দেশ হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনার জন্য।

আর এ ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিকভাবে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের কথাই চলে আসে। ভেবে অবাক হতে হয় দেশে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে পথ দেখিয়েছিলেন তিনিই। ১৯৭৫ সালের ৪ জুলাই দৈনিক বাংলা পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়। দেশের মানুষের কাছে তখন রেডিও-টেলিভিশন সহজলভ্য ছিল না। ১৯৭৫ সালের ৩ জুলাই বঙ্গবন্ধু নিজে রেডিও ও টেলিভিশনের দাম এবং নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেশেই তা উৎপাদনের জন্য নথিতে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় বলা হয়, এক বছরে এক থেকে তিন ব্যান্ডের ৯০ হাজার রেডিও উৎপাদন করতে হবে।

এর মধ্যে এক ব্যান্ডের ৭৫ হাজার এবং দুই-তিন ব্যান্ডের ১৫ হাজার রেডিও। যার মূল্য হতে হবে ২১০ থেকে ২৪৫ টাকা পর্যন্ত। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে বলা হয়, পাঁচ হাজার সেট ২০ ইঞ্চি টেলিভিশন তৈরি করতে হবে, যার মূল্য সর্বোচ্চ হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা। নথিতে তিনি এক হাজার সেট ২৪ ইঞ্চি টেলিভিশন উৎপাদন বা সংযোজনের কথাও উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর এই সিদ্ধান্তের মূলে ছিল রেডিও-টেলিভিশন মানুষের কাছে সহজলভ্য করে তা জনকল্যাণে ব্যবহার এবং দেশেই এসব প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের পথ সুগম করা।

বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও কর্মের সঙ্গে অদ্ভুত সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রায় সাড়ে তিন দশক পর তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হয়। একটি রূপকল্পকে (ভিশন-২০২১) সামনে রেখে ১২ বছরের পথচলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়।

এই অগ্রগতির নেপথ্যে কাজ করেছে রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের ডিজিটাল অর্থনীতি বিকাশের চিন্তা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব আইন, নীতিমালা প্রণয়ন ও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, যা শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যই বয়ে আনেনি, বাংলাদেশকে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার এক বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করছে। ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে শুধু সফটওয়্যার খাত নয়, হার্ডওয়্যার বা প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদকের দেশ হতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে হবে। এর গুরুত্ব ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমদানিকারক দেশ হিসেবে নয়, রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনার বাস্তব রূপ দিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খ্যাতিমান তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তাঁরই পরামর্শে দেশেই প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের জন্য নীতি সহায়তাসহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়। তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করা হয়। হার্ডওয়্যার সংযোজন বা উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয় এবং আইটি/আইটিইএস খাতে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের ডিজিটাল ডিভাইস বা পণ্য।

প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসংক্রান্ত সুবিধা প্রদান ও আইসিটিবান্ধব নীতিমালা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ইতিবাচক ধারার কথা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনেও। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) নামক একটি বৈশ্বিক সংস্থার ‘ড্রাইভিং আ ডিজিটাল বাংলাদেশ থ্রু হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ভবিষ্যতে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনের আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

হাই-টেক উৎপাদনসংক্রান্ত নীতিমালা গ্রহণের ফলে ২০১৭ সালে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও (১১ শ কোটি ডলার) বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হয়। বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার প্রয়োজন সরকার সে সম্পর্কে অবগত আছে।’ আইডিসির প্রতিবেদনে যে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা মোটেও অমূলক নয়। কারণ দেশে ওয়ালটন তৈরি করছে টিভি, ফ্রিজ, এসি, ল্যাপটপ, পিসি, মোবাইল ফোনসহ নানা সামগ্রী। এসব পণ্যসামগ্রী শুধু দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, রপ্তানিও হচ্ছে। অন্যদিকে ফেয়ার গ্রুপ স্যামসাংয়ের সহায়তায় তৈরি করছে স্মার্টফোন।

স্যামসাংয়ের আর কোনো স্মার্টফোন দেশে আমদানি হবে না; বরং বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি হবে। ফেয়ার গ্রুপ তৈরি করছে টিভি, ফ্রিজ এবং আগামী দিনে তৈরি করতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি। এ ছাড়া ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনিসহ ৪৮টি প্রতিষ্ঠান কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি, সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডসহ ২০টি কম্পানিকে জমি ও স্পেস বরাদ্দ প্রদান, র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের ৩২ একর জমিতে আগামী তিন বছরের মধ্যে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার (এসি), হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং মোল্ডিং উৎপাদনে পৃথক পাঁচটি ফ্যাক্টরি স্থাপন ও ৮০ মিলিয়ন মার্কিন বিনিয়োগের ঘোষণা, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেডে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক নির্মাণকাজ শুরু এবং প্রাথমিকভাবে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি।

প্রযুক্তিপণ্যে উৎপাদক বা রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্যোগটি আশাব্যঞ্জক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্র্যাটেজি’র একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মেধা ও সক্রিয়তায় দ্রুততর সময়ে এটি করা হয়।

বর্তমানে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর স্ট্র্যাটেজির খসড়া মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রেরণের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রথমে স্ট্র্যাটেজি করা হচ্ছে। চূড়ান্ত লক্ষ্য ‘মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি পলিসি।’ খসড়ায় বলা হয়েছে, মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্র্যাটেজি এমন একটি দলিল, যাতে স্থানীয়ভাবে গুণগত মানের ডিজিটালপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর ফলে আমদানিনির্ভরতা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

খসড়ায় রয়েছে ৬৫টি কর্মপরিকল্পনা, যা তিন মেয়াদে অর্থাৎ স্বল্প মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৩, মধ্য মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৮ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ২০২১ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে। স্বল্প মেয়াদে এমন কিছু কাজের বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, যা সময়ের দাবি। যেমন—২০২৩ সালের মধ্যে দেশে পাঁচ লাখ দক্ষ মানুষ তৈরি ও গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা।

প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদকের দেশ বা রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার চিন্তা উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নীতিনির্ধারকরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে কোনো উচ্চাভিলাষী চিন্তা বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কঠিন নয়, তার প্রমাণ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।

মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্র্যাটেজিতে উল্লিখিত কর্মপরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদকের দেশ বা প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রপ্তানিকারক দেশ হতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও বাসসের সাবেক সিটি এডিটর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বোয়ালমারীতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

বোয়ালমারীতে হত্যাচেষ্টা মামলায় সুদেব সিং গ্রেফতার

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে...

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ফটোসেশন

স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ২ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের...

স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জে...

কান উৎসবে নজর কাড়লেন ভাবনা

বিনোদন ডেস্ক: কান চলচ্চিত্র উৎসবে...

হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল...

বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির দেশবিরো...

ডাল কিনছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা