লাইফস্টাইল ডেস্ক: রোজা রাখার উপরাকিতা, গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে কী বলা হয়েছে, তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম।
আরও পড়ুন: ডাবের পানির উপকারিতা
বছরের অন্যান্য সময়ে একবেলার খাবার বাদ দিলেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট রুটিনে সেহরি ও ইফতার খেয়ে রোজা রাখলে তা শরীরের জন্য সুফল নিয়ে আসে। জেনে নিন রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে-
(১) প্রদাহ কমাতে কাজ করে:
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার সময় শরীরে প্রদাহ তৈরি হয়। অনেক সময় শরীরে প্রদাহ তৈরির কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। যাদের হার্টের অসুখ, ক্যান্সার, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ধরনের অসুখ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। নিয়মিত রোজা রাখলে প্রদাহের আশঙ্কা কমে আসে- এমন তথ্য মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
আরও পড়ুন: গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়
(২) রক্ত পরিশোধন:
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের রক্তে নানা রকম বর্জ্য পদার্থ ও ক্ষতিকর পদার্থ ঘুরে বেড়ায়। এ রক্তকে পরিশোধন করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে রোজা।
(৩) মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি:
আমাদের বেশিরভাগ কাজ বা সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের ক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাবে, ততই আপনি হয়ে উঠবেন অনন্য। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে রোজা পালনের মতো অভ্যাস। রোজা রাখলে মস্তিষ্কের উন্নতি হয়। মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে এড়িয়ে চলুন ৪ ফল
(৪) তারুণ্য ধরে রাখা:
আমাদের শরীর কয়েক লাখ কোষ দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষে বর্জ্য পদার্থের সৃষ্টি হয়। এ বর্জ্য কোষ নিজেই ‘অটোফেজি’ নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপসারণ ও ব্যবহার উপযোগী করে, যা কোষকে সতেজ করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
(৫) কিডনি ভালো থাকে:
কিডনির মাধ্যমে শরীরে প্রতি মিনিটে ১-৩ লিটার রক্ত সঞ্চালিত হয়। কিডনির কাজ হলো শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো প্রস্রাব আকারে মূত্রথলিতে প্রেরণ করা। রোজা রাখলে কিডনি বিশ্রাম পায়। ফলে কিডনি বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
সান নিউজ/এসএম/এনজে