আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে বইছে ভয়াবহ শীতকালীন তুষারঝড়। রেকর্ড পরিমাণ তুষারপাতের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা-ঘাট। এতে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী বেড়েছে শানাক্ত ও প্রাণহানি
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এবারের তুষারপাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিউইয়র্কের বাফেলো শহর। সেখানে নতুন করে আরও সাত জনের মৃতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে আবারও বিজয়ী মোস্তফা
শহরের মেয়র বাইরন ব্রাউন বলেন, গত পঞ্চাশ বছরে এমন খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কের এরি কাউন্টিতেই মারা গেছেন অন্তত ২৭ জন। এই কাউন্টিতে বাফেলোও শহর অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কখনো বরফের আস্তরণের নিচ থেকে কখনো গাড়ির ভেতর থেকে মিলছে মৃতদেহর সন্ধান।
পশ্চিম কানাডায় ইতোমধ্যে তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে হিমাঙ্কের ৫৩ ডিগ্রি নিচে। এ ছাড়া মিনাসোটার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩৮ ডিগ্রি নিচে, ডালাসের পারদ নেমেছে হিমাঙ্কের ১৩ ডিগ্রি নিচে।
আরও পড়ুন: মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৫
তুষারঝড়ের কারণে আমেরিকার রাস্তায় পুরু বরফের আস্তরণ জমে গেছে। কোথাও কোথাও তার উচ্চতা ৮ থেকে ১০ ফুট। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও পরিবহণব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে আমেরিকার বিভন্ন স্থানে। প্রায় ২ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বাস করছেন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন: সাগরে ডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যু
দেশটির আবহাবিদরা জানান, এ পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতর থাকতে হবে। তীব্র ঠাণ্ডায় বাইরে বেরোলে তুষারক্ষত, এমনকি প্রাণহানির সম্ভাবনাও রয়েছে। তুষারপাতের পাশাপাশি দেশটিতে অনবরত চলছে ঝড়োহাওয়া। কনকনে ঠাণ্ডা সেই হাওয়া যেন চাবুক মারছে শরীরে।
সান নিউজ/এমআর