সান নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থতা দাঁড়ালো ৪৪ কোটি ৯৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৪ জনে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে দুই হাজার দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ পাঁচ হাজার ৮৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: আমি সীমাহীন আনন্দিত
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার ২০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, ২৫৮ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৭৯ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ৯০ হাজার ৯২৮ জনের শনাক্তের মধ্য দিয়ে তা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৮ জন।
আরও পড়ুন: অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু ২৩ এপ্রিল
এছাড়া দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এ সময়ে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জনের। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৭১ হাজার ৯৬৪ জনের। ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৫৫ জনের। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ সাত হাজার ৯১৫ জনে।
অন্যদিকে, করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ হাজার ১২৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ১৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ২১ লাখ তিন হাজার ৬৭ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৬১ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন সাত কোটি ৯৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫৬ জন।
আরও পড়ুন: রুশ বাহিনী কিয়েভ দখল নেবেই
এছাড়া বিশ্বের আরও যেসব দেশে মঙ্গলবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো ফ্রান্স (মৃত ১৭৮ জন, নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার ৪৯২ জন), ইতালি (মৃত ১১৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৩৬৮ জন) থাইল্যান্ড (মৃত ১০৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৩৮৭ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৮৭৬ জন, মৃত ৩৮ জন) ও অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪২ হাজার ৭২৬ জন, মৃত ৫ জন)।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সান নিউজ/এমকেএইচ