আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন একক ডোজেই করোনা ভাইরাসের মাঝারি ও গুরুতর সংক্রমণ প্রতিরোধে ৬৬ শতাংশ কার্যকর।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) জেএন্ডজে সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে এ দাবি করেছে জনসন এন্ড জনসন। এ ট্রায়ালে বিশ্বব্যাপী ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অংশে ভ্যাকসিনটি ৭২ শতাংশ কার্যকর দেখা গেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটির কার্যকারিতা মাত্র ৫৭ শতাংশ। এদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন এক ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব।
সংস্থা বলেছে, সামগ্রিকভাবে গুরুতর সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ৮৫ শতাংশ কার্যকর এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ ভ্যাকসিন করোনার কারনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি এবং মৃত্যু প্রতিরোধে যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
তবে জে এন্ড জের দেয়া তথ্যমতেই, তাদের ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। কয়েকদিন আগে অন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের মধ্যে মডার্না ও ফাইজারও বলেছে যে তাদের ভ্যাকসিন এ নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কম শক্তিশালী।
জনসন এন্ড জনসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনে নথিপত্র দাখিল করবে।
অনুমোদন পাওয়ার পর পরই তারা সরবরাহ শুরু করার মতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। এ ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যকর্মী এবং টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে এখনও দ্বিধায় থাকা জনগোষ্ঠীকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ এটির এক ডোজ নিলেই চলে।
যেখানে পূর্ণ সুরক্ষা পেতে ফাইজার, অক্সফোর্ড এবং মডার্নার ভ্যাকসিন এক মাসের বিরতিতে দুই ডোজ করে নিতে হয়। এছাড়া এ ভ্যাকসিন সাধারণ ফ্রিজারে করে বহন করা যায়। অবশ্য জেএন্ডজের ভ্যাকসিনের দুই ডোজের একটি ট্রায়ালও চলমান।
শুক্রবার আরেক মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে বড় আকারের ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিন ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিতে পারে।
যুক্তরাজ্য সরকার এ ভ্যাকসিনের ৬ কোটি ডোজের জন্য প্রাক-ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। এটির উৎপাদন হবে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের স্টকটন-অন-টিজ-এ। সূত্র: পলিটিকো ও বিবিসি।
সান নিউজ/এসএ