এম.এ আজিজ রাসেল : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব চলছে কক্সবাজারে। বৃষ্টি হচ্ছে জেলাজুড়ে। সেই সাথে রয়েছে দমকা হাওয়া। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৭নং বিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে।
আরও পড়ুন : হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ সম্পাদকের মৃত্যু
জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ও ১০ হাজার গৃহপালিত পশু আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া ও নাজিরারটেক এলাকা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন সরিয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা। অজানা শঙ্কায় শত শত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে যানবাহন সংকটে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন : বান্দরবানে ১০ হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, সাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এই এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী একেএম তারিকুল আলম বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে যানবাহন করে আনা হচ্ছে। সবার জন্য খাবারসহ নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দেশ আরও সহিংস হয়ে উঠবে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় মাঠে নেমেছে পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে ঝুঁকিপূর্ণ এালাকায়
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারূফ আদনান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে কাজ করছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ত্রিশালে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ১নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, নাজিরার টেক, কুতুবদিয়া পাড়া। এখানে সকাল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লোকজনকে নিরাপদে সরাতে মাইকিং করছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে না আসা পর্যন্ত এই কাজ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন : তালাবদ্ধ বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি!
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। মজুত আছে ১০ লক্ষ টাকা, ৩০০ মে.টন চাল, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করছে ১০ হাজার সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক ও ১০৮টি মেডিকেল টিম।
সান নিউজ/এইচএন