সারাদেশ

রায়পুরের ২১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশনা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড় ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে পালন করে দিবসটি। রায়পুর উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার। যে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। শহিদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছাটুকুও অপূর্ণ রয়ে যায়।

রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে- উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক ১২১টি, বেসরকারি প্রাথমিক ৪৪টি মাধ্যমিক ৩৪টি, মাদ্রাসা ২০টি ও কলেজ রয়েছে সরকারি ১টিসহ ৮টি, মোট ২২৬টি । এর মধ্যে সাড়ে ২১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কোনো শহিদ মিনার নেই।

ফলে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনটি পালনের নির্দেশনা থাকলেও হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড় ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে পালন করে দিবসটি।

রায়পুর উপজেলার কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলে, আমাদের স্কুলে শহিদ মিনার না থাকায় একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে ভাষা শহীদদের আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারি না।

দেবিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুন্নাহার বলেন, শহিদ মিনার নেই, এ কথা সত্য। তবে আমরা শহিদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এটা খুব দরকার। এখনো পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় একই কমপ্লেক্সের ভিতরে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। তবে জেলা পরিষদ সদস্য কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া আশ্রায়ন কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সুপিয়া বেগম বলে, চার বছর ধরি আঙ্গো-স্কুলে শহীদ মিনার নাই। আন্ডা কলা গাছ ও বাঁশ দিয়া শহিদ মিনার বানাই আনন্দ করি।

রায়পুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম মোস্তাক আহাম্মদ জানান, উপজেলার ২২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১০টিতে শহিদ মিনার নেই। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই তাদের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠিয়েছি। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নকশা না দেয়া পর্যন্ত শহীদ মিনার নির্মাণ নিষেধ রয়েছে।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সেখানে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সভায় শিক্ষকদেরকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। একইসাথে সরকারি বরাদ্দ পাওয়ারও চেষ্টা চলছে।


সান নিউজ/জেইউবি/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দেব–শুভশ্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়

দীর্ঘ বিরতির পর সাবেক প্রেমিক জুটি দেব ও শুভশ্রী পর্দায়। কৌশিক গাঙ্গুলীর &lsq...

নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে, আশা ইসির

আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে পারব...

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কাল

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব...

দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী। পাকিস্তানের বাণ...

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, ৫ উপজেলার বহু মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা