নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকেই বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার দেবে। ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হলেও মিয়ানমারে তাদের ফিরতেই হবে।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোহিঙ্গাদের প্রথম দল শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছেছে। সেখানে ১৬শ’র বেশি রোহিঙ্গা গেছেন। যারা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চেয়েছেন তাদেরই পাঠানো হয়েছে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার থেকে ভাসানচরে বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ২২টি এনজিও সহায়তা দেবে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরতে হবে। অস্থায়ীভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
একই সঙ্গে আমরা সবাইকে বাংলাদেশ সরকারের প্রকৃত প্রচেষ্টাকে দুর্বল বা ভুল ব্যাখ্যা না করার জন্য সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরার লক্ষ্যে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে তাদের প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত রাখে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোর বিষয়ে বিরোধিতা করছে। এছাড়া ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ এক বিবৃতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে।
সান নিউজ/বিএস