ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশ

৭ মাসে হাফেজ হলেন ১১ বছরের মাহির

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার ১১ বছর বয়সী ছাত্র আল মাহির শাহরিয়ার মাত্র ৭ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছে।

আরও পড়ুন: খৎনার সময় মৃত্যু, দোষীদের ছাড় নয়

একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন ১৩ বছর বয়সী তারই বড় ভাই আল ফাহিম শাহরিয়ার। ২ ভাই অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ছেলেদের জন্য দোয়া চেয়েছেন মা সালমা সুলতানা লিলি। সমাজের বিশিষ্টজনরা মনে করে মানুষ এ থেকে আরো বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

জানা যায়, বাবা ও নানার ইচ্ছায় প্রথমে বড় ছেলে আল ফাহিম শাহরিয়ারকে বাড়ির পাশে জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বড় ছেলে ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। এরপর ছোট ছেলে আল মাহির শাহরিয়ারকেও ভর্তি করা হয় একই মাদরাসার হিফজ বিভাগে।

আরও পড়ুন: রাতের তাপমাত্রা কমার আভাস

সে ওই মাদরাসা থেকে মাত্র ৭ মাস একদিনে কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন। ছেলেদের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। মায়ের আশা, ছোট ছেলে আল ফারিক শাহরিয়ার আরও কম সময়ে কোরআনে হাফেজ হবেন।

তারা ২ ভাই বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকার হাজী তাজুল ইসলামের বাড়ির প্রবাসী মাইন উদ্দিনের ছেলে।

হাফেজ আল ফাহিম শাহরিয়ার ও তার ছোট ভাই আল মাহির শাহরিয়ার বলেন, মা-বাবা ও নানার আন্তরিক উৎসাহে আমরা কোরআনে হাফেজ হয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনেক দেশের অনুপ্রেরণা

শিক্ষার্থীদের মা সালমা সুলতানা লিলি বলেন, আমার বাবা তার নাতিদেরকে হাফেজ বানানোর জন্য আমাকে উৎসাহ দেয়। আমার ৩ ছেলে যেন হাফেজ হয়। নাতিরা যেন তার নানা মারা গেলে নানার জানাজা পড়াতে পারে। প্রথমে কিন্তু আমি ছেলেদের মাদরাসায় দিতে চাইনি।

ওদের বাবা আমার সাথে অনেক জোরাজুরি করে বলে একটা ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে দেখ। যখন আমার বড় ছেলে হাফেজ হয়। তখন আমার মধ্যে কথাবার্তা, আদব-কায়দা, নামাজ-কালামে পরিবর্তন চলে আসে। তখন আমার দ্বিতীয় ছেলেকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করিয়েছি।

জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মান্নান বলেন, ২ ভাই অনেক মেহনত করে কোরআন মুখস্ত করে। মাঝখানে ছোট ভাইয়ের একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে তা আবার ঠিক হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: আজ বইমেলা শুরু ১২টায়

১৯৯৪ সালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এ মাদরাসা থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ জন কোরআনে হাফেজ হয়। আমার হাতে এ মাদরাসা থেকে ২৫ জন ছাত্র হাফেজ হয়।

মাদরাসার মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা পর থেকে ৫০ জন ছাত্র হাফেজ হয়। ২ ভাই অনেক মেহনত করে কোরআনে হাফেজ হয়েছে।

আমি তাদের ওস্তাদকেও ধন্যবাদ জানাই, তারা ছাত্রদের পিছনে খুব মেহনত করেছেন। শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয়, এলাকাবাসীও শুভকামনা জানিয়েছেন হাফেজ ২ ভাইয়ের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ হাফেজরা।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বোয়ালমারীতে হত্যাচেষ্টা মামলায় সুদেব সিং গ্রেফতার

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে...

বোয়ালমারীতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ফটোসেশন

স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ২ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের...

ভোলায় এলজিইডি’র জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষণ 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় জেলা ও উপজে...

কান উৎসবে নজর কাড়লেন ভাবনা

বিনোদন ডেস্ক: কান চলচ্চিত্র উৎসবে...

হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল...

বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির দেশবিরো...

ডাল কিনছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা