সান নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা বহু দেশ এবং তাদের মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে মস্কো।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার (১১ মার্চ) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্ভবত ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ মর্যাদা হারাতে যাচ্ছে রাশিয়া।
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ হিসেবে বাণিজ্য সুবিধা পেত রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কারণে সেসব সুবিধা এখন প্রত্যাহার করা হতে পারে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরও আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পথ প্রশস্ত হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে’ আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো ধরনের নীতিগত বৈষম্যের সম্মুখীন করা যায় না।
এদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ৮ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ওপর পুতিন ভীষণ রেগে গেছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি অলেক্সি ড্যানিলভ।
এমনকি রাশিয়া যুদ্ধ কৌশল বদলাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনে রুশ হামলার ১৬তম দিনে নতুন করে তিন শহরে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। প্রথমবারের মতো বিস্ফোরণের কবলে পড়ে লুৎস্ক, দিনিপ্রো ও ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহর। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত বেজে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন সানি লিওন
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে