জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় আমেনা আক্তার নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলেগোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১গৃহবধূসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ
নিহত শিশু আমেনা উপজেলা হলদিবাড়ি গ্রামেরআলকাছ ও নার্গিস বেগমের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল ৫টায় বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে যায় শিশুটি। রোজা থাকায় তার মা নার্গিস বেগম সন্ধ্যায় রান্না ঘরে ইফতার করতে যায়। ইফতার করে নামাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উঠানে এসে দেখেন শিশুটি নেই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। এরপরও শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৪
নিহতের চাচা আশরাফ বলেন, একটি বাটন মোবাইল হারিয়ে যায়। সেই মোবাইল ফোনে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শিশু আমেনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তখন তাদের কথা মতো এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়।
অপহরণকারীরা জানান, বাড়ির পূর্ব পাশের সবজি বাগানে টাকাগুলো রেখে আসতে বলে। তোমার বাচ্চাকে যথা সময়ে ছেড়ে দেব।
এরপর অপহরণকারীরা শিশুটির ঘুমন্ত ছবি তার বাবার ইমুতে পাঠায় ও মুক্তিপণ দাবি করে। শিশুটির পরিবার সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বুধবার বিকেলে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন : অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার
শিশুটির বাবা আলকাজ আলী বলেছেন, আমি তো তাদের কথা মতো টাকা দিতে রাজি ছিলাম। তাহলে আমার মেয়েটাকে কেন মেরে ফেলল। আমি বিচার চাই। আমার মেয়ের সাথে এমন হয়েছে আর যেন কারো সাথে এমনটা না হয়।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে মামলা নম্বর ১৫।এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।
সান নিউজ/এমএ