জেলা প্রতিনিধি: ইমরান আহমেদ (৩০) হবিগঞ্জে বানিয়াচং উপজেলায় শিশুকন্যা এনিকে কাগাপাশা ব্রিজের ওপরে ট্রাক থেকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে ৫ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
ঘাতক ইমরান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট উত্তরপাড়ের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
প্রসঙ্গত,গত ৩০ জানুয়ারি বানিয়াচং উপজেলায় শুটকি নদীর শাখায় কাগাপাশা ব্রিজের নিচে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেওয়ারিশ হিসেবে শিশুটিকে দাফন করা হয়। মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে মা ইয়াসমিন আক্তার দেড় বছর বয়সী এনিকে শনাক্ত করে। ইয়াসমিন আক্তার সাবেক স্বামী ইমরানসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেইন বলেন, সুনামগঞ্জের দুয়ারা বাজারে অভিযান চালিয়ে ঘাতক ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইমরান চারটি বিয়ে করেছে এবং ইয়াসমিন ও ইমরানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ঘরে দেড় বছরের শিশু কন্যা এনি।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবন শুরুর আগেই শেষ
তিনি আরও বলেন, ইয়াসমিন আক্তার ও ইমরান মিয়ার সালিশে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শিশু এনির জন্য ইমরান প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সালিশে। কয়েক মাস ধরে ইমরান টাকা না দেওয়ায় ইয়াসমিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। পরে চিকিৎসা করানোর কথা বলে গত ২৯ জানুয়ারি রাতে মেয়ে এনিকে ট্রাকে করে নিয়ে আসেন ইমরান। সিলেট থেকে ট্রাকটি বানিয়াচংয়ের কাগাপাশা ব্রিজে উঠলে মেয়ে এনিকে ছুড়ে পানিতে ফেলে দেন তিনি। এরপর ইমরান তার সহযোগী বাদল মিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। বিকালেই ইমরানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক ট্রাক সহযোগীকে ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
সান নিউজ/এএন