নিজস্ব প্রতিনিধি (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মতভাবে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিস্তা পাড়ের মানুষজন মানববন্ধন করেছে।
আরও পড়ুন : বিচারকদের সাহসী পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ
বৃহস্পতিবার(৩১মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজারহাট সোনালী ব্যাংক চত্বর এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী বিশাল মানববন্ধনে তিস্তা পাড়ের শত শত মানুষ, উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও প্রেসক্লাব রাজারহাটের সাংবাদিকবৃন্দ একাত্মতা ঘোষনা করে মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি, ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক, রাজারহাট সরকারী এম.আই কলেজের উপাধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান মন্ডল(চাঁদ), প্রেসক্লাব রাজারহাটের সভাপতি এস.এ বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও রাজারহাট উপজেলা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোঃ সাজু সরকার, জাপা নেতা সাদ্দাম হোসেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও রাজারহাট উপজেলা সংগ্রাম পরিষদের স্টাডিং কমিটির সদস্য বক্তিয়ার হোসেন শিশির, মোশারফ হোসেন, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আজিজার রহমান ও মৌলভী মোঃ আঃ সালাম প্রমূখ। বক্তারা ৬ দফা দাবী তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন : বিএনপি নেতৃত্ব আজ বিভক্ত
দাবীগুলো হলো :
তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞান সম্মতভাবে তিস্তা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ।
তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ-চলাচল পুনরায় চালু করা।
ভূমি দস্যুদের হাত থেকে অবৈধভাবে দখলকৃত তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপশাখা নদী দখলমুক্ত করা। নদীর বুকে ও ধারে গড়ে উঠা সমস্ত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন।
আরও পড়ুন : রমজানেও চলবে টিকাদান
তিস্তার ভাঙ্গনে বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। নদীর ভাঙ্গণে বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বহারা ভূমিহীন, গৃহহীন, মাঝি-মাল্লা ও মৎস্য জীবিসহ সকল পেশার উদ্বাস্তু মানুষের পূণর্বাসন।
তিস্তা মহাপরিকল্পনায় কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় অগ্রাধিকার প্রদান, কৃষি সমবায় এবং কৃষি ভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা।
মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
সান নিউজ/এইচএন