রংপুর ব্যুরো: রংপুর নগরীসহ জেলাজুড়ে শুধু বিদেশি ফলই নয়, বাজারে সব দেশি ফলের দামেও যেন আগুন লেগেছে। এতে দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: হাতিরপুলে ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
বর্তমানে অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি অনেকটা বিলাসী পণ্যে রূপ নিয়েছে ফলও। এতে মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে দেশিও ফল। এ নিয়ে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তারা বলছেন, দেশের সকল নিত্যপণ্যের দামের সাথে দেশিও ফলের দাম বাড়ছে হু হু করে। এতে অনেকেই এসব কিনতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে যেসব দেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আছে বরই, যা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১৫০ টাকা কেজি দরে। পেয়ারার কেজি ৯০-১০০ টাকা। পেঁপের কেজি ১৪০-১৬০ টাকা। আনারসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে ইইউ’র যুদ্ধজাহাজ
দেশীয় ফলের মধ্যে সফেদা পাওয়া যাচ্ছে রংপুরের বাজারে। তুলনামূলক ভারী এ ফলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দাম বেড়েছে বেলেরও।
প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা ডজন ছিল সবরি কলার। রোজা উপলক্ষে ডজন প্রতি এ কলার দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। ডজন প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে সাগর কলার দামও। খেজুর সবনিম্ন সাড়ে ৩শ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ফলের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রংপুর সিটি বাজার, কাচারি বাজার এলাকা ও বঙ্গবন্ধু ম্যূরাল চত্বরসহ পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, লালবাগ, মর্ডাণ ও মাহিগঞ্জ এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আসছেন ভুটানের রাজা
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কমলা রোজার আগের দিন থেকেই বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা কেজি দরে। মানভেদে এ কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরেও।
এছাড়া রোজার আগে আপেল বিক্রি হতো ১৮০-২৫০ টাকায়। রোজার প্রথম দিন থেকে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন
সে হিসাবে ছোট আকারের একেকটি তরমুজের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা। বেড়েছে ডাবের দামও। আকারভেদে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা পিস হিসেবে।
নগরীর সিটি বাজার ও কাচারি এলাকার বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল সংলগ্ন ফলের দোকানগুলোর কয়েকজন বিক্রেতা জানান, মোকামে দাম যে হারে দাম বাড়ছে, তাতে ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। আমরা খুচরা বিক্রেতা। মোকামে দাম বাড়লে আমাদের কাছেও বাড়ে। সবখানেই সিন্ডিকেট!
সান নিউজ/এনজে