নিজস্ব প্রতিনিধি, ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ): ভালেবেসে বিয়ে। মেহেদির রং না মুছতেই মারিয়া আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ছোট কবরস্থানের শাহাদাতের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারিয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদি খান থানার পূর্ব শিয়লাদির দুবাই প্রবাসী মো. শহীদ মীরের কন্যা। সে স্বামী রিফাত ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ওই বাড়িতে থাকতো।নিহতের স্বামী রিফাত একই জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার আউশাহি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. লিটনের ছেলে।
মারিয়ার স্বজনদের অভিযোগ তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। অপর দিকে নিহত মারিয়ার শ্বশুর বাড়ির দাবি সকলের অগোচরে দরজা খুলে পাচঁতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে নিচে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করে।
এদিকে, নিহত মারিয়ার মা রহিমা আক্তার জানায়, তার মেয়ে মারিয়া আক্তার রিফাতের সাথে প্রেম করে চার মাস পূর্বে বিয়ে করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তারা সে বিয়ে মেনে নিয়ে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে তার মেয়ের উপর নির্যাতন করতো স্বামী রিফাত। এমনকি মেয়েকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতেও দেয়া হতো না। তারা মাসদাইরের ভাড়া বাসায় মেয়েকে দেখতে এলেও তাদের সাথে মেয়েকে দেখা করতে দিতো না। প্রতিদিনই মেয়ের উপর নির্যাতন করতো বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। এবং হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এনএএম/এমকেএইচ