দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ২৪ এপ্রিল ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সমন্বয় ও লিয়াজোঁ কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন।
লিখিত বিবৃতিতে তারা জানান, ১৯৭৮ সালের ২২ মে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এককালীন বরাদ্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধারা ভরাট কানাহার পুকুরটি মাছ চাষযোগ্য করে তোলেন। এ যাবৎ ভোগ দখলরত তবে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ চুরির দায়ে কারাভোগকারী ও কথিত সংবাদকর্মী কাটাবাড়ী মহল্লার পিতৃবিয়োগ নুর হোসেনের একমাত্র পুত্র হারুন উর রশীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে পুকুর থেকে মাছ ধরার উপর জোরপূর্বক বাধা সৃষ্টি করছেন।
অভিযোগ করা হয়, হারুন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালান।
পুকুরের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার শফিকুল ইসলাম বুলু জানান, হারুন নিয়মিতভাবে ভয় দেখিয়ে মাছ ধরায় বাধা দেন এবং পুকুর দখলের হুমকি দেন।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, হারুনের কর্মকাণ্ড মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার শামিল। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা রাষ্ট্রের অসম্মান করার মতো। এই ধরণের চাঁদাবাজদের কারণে সমাজে বিভেদ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধান্দাবাজ হারুনের মত হলুদ সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতার মত পবিত্র দায়িত্বকে কলুষিত করেছে। কুচক্রী সুবিধাবাদী ও অসৎ সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ, কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বরং সমাজে বিভেদ, বিদ্বেষ, বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা এদের প্রতি ঘৃণাভরে নিন্দা প্রকাশ করছি।
ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সমন্বয় ও লিয়াজোঁ কমিটি দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কানাহার পুকুরের সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সাননিউজ/ইউকে