আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এখনও মিয়ানমারের রাজপথে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। খবর অনলাইন বিবিসির।
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, সেনাবাহিনীর কখনোই উচিত হবে না জনগণের ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করা অথবা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ফলকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিশাল বিজয় পায়।
সোমবার ১ ফেব্রুয়ারি নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে সেনাবাহিনী বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি, তার মন্ত্রীপরিষদের কিছু কর্মকর্তা, আইন প্রণেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয়। এর নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও বৃটেনও।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করলে প্রায় এক দশক ধরে তাদের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অভ্যুত্থানের কারণে সেই সিদ্ধান্ত নতুন করে জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, যেখানেই হোক গণতন্ত্র আক্রান্ত হলে, সেই গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।
সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের বিরুদ্ধে মারাত্মক এক আঘাত বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তনিও গুতেরেস। অন্যদিকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ দাবি করেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কমপক্ষে ৪৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করেছে।
তাদের মুক্তি দাবি করে জাতিসংঘ। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি অং সান সুচিকে আটক বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেছেন। একই রকম বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা সহ বিশ্বের অনেক দেশ।
সান নিউজ/এসএ