ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রযুক্তির কল্যাণে নাটোরের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার পরিবারে ফিরে গেল।
আরও পড়ুন:চরমোনাই মাদরাসার শিক্ষক নিহত, আহত ৪
সোমবার (৭ আগস্ট) নাটোর থেকে হাফিজার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও ছেলে শামিম হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে এসে শনাক্ত করেন ওই ভারসাম্যহীন নারীকে।
পরে জেলা প্রশাসক কালেক্টরেট চত্বরে স্বামী ও সন্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে । ওই নারীকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে বিনা খরচে নাটোরে পাঠানো হয় এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহামেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি হাটের পাশে স্কুল ভবনের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে বেশ কিছুদিন থেকে বসবাস করছিল হাফিজা বেগম নামের ওই নারী। দীর্ঘদিন অর্ধাহারে অনাহারে থাকায় রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন:বালুর স্তূপে চাপা পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
ঠিকমতো গোছল খাওয়া না করায় তার সারা শরীরে ছোট-বড় পোকা মাকড় ক্ষত করে। পচন ধরে শরীরে। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছিল ওই নারী। গত ২০ জুন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ওই নারীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
চিকিৎসা শেষে খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে তার নাম ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। নাম ঠিকানা বলতে না পারায় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার নাম পরিচয় বের করা হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা হাফিজা নিতে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন।
আরও পড়ুন:মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পাই যে সদর উপজেলার খোচাবাড়ি হাট এলাকায় একটি স্কুলে অজ্ঞাতনামা একজন মহিলা স্কুল কক্ষে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।
এমন সংবাদ জানতে পেরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ের গাড়িতে করে হাফিজাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যান চলাচল বন্ধ
চিকিৎসায় খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে তার বাসার ঠিকানা জানতে চেষ্টা করি। কিন্তু হাফিজার তার বাসার ঠিকানা বলতে পারতেছিলো না। তখন আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে হাফিজার পরিবারের সন্ধান পাই।
সান নিউজ/এইচএন