সান নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামনে আমাদের মহান বিজয় দিবস। এই উপলক্ষে বুস্টার ডোজ টিকার ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে, চলবে ৭ তারিখ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ফসলের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল মেরিডিয়ানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিশেষ এই ক্যাম্পেইনে ৯০ লাখ লোককে টিকা দেওয়া হবে। আমরা এর আগে যতগুলো ক্যাম্পেইন করেছি, সবগুলোই সফল হয়েছে। আশা করছি এটিও সফল হবে। এ পর্যন্ত ১৩ কোটি ৯ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা আমরা দিয়েছি, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়াও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখ মানুষকে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডোজ, যা লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু
তিনি বলেন, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে আমাদের দেশে করোনার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেলেও বুস্টার ডোজের জন্য অপেক্ষমাণ জনগোষ্ঠী এখনও ৪ কোটি ৫৮ লাখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজ পর্যন্ত আমরা ৯টি বিশেষ ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছি। এসবের মাধ্যমে টিকা দিয়েছি ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ডোজ। বিজয়ের মাস উপলক্ষে আমরা ৯০ লাখ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমবে
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ এই ক্যাম্পেইনে মোট কেন্দ্র থাকবে ২৮ হাজার ৫৬৯টি। মোট ভ্যাকসিনেটর থাকবেন ৫৭ হাজার ১৩৮ জন। ভলান্টিয়ার থাকবেন এক লাখ ৪২ হাজার ৮৪৫ জন। টিকার বর্তমান মজুত রয়েছে প্রায় এক কোটি ডোজ।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রোধে ডিসেম্বরের ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় ৯০ লাখ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে