কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মহাসড়কে পিকআপ চাপায় মর্মান্তিকভাবে ৪ নিহত হয়েছেন ভাই । ১০ দিন পূর্বে মারা যাওয়া বাবার জন্য শ্রাদ্ধ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারার মালুমঘাট রিংভং এলাকায় নিহত হন এ সহোদররা।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাফায়েত হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা সহোদররা হলেন:
ডুলাহাজারা মালুমঘাট রিংভং সগীরশাহ কাটা এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে অনুপম চন্দ্র শীল (৪৭),
নিরুপম চন্দ্র শীল (৪৫),
দীপক চন্দ্র শীল ও
চম্পক চন্দ্র শীল (৩৫)।
এ সময় আরো একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেলেও তার নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাফায়েত হোসেন জানান, নিহতদের বাবা ১০ দিন আগে মারা যান।
বাবার জন্য শ্রাদ্ধ (ক্রীয়া কর্ম) দিয়ে বাড়ি ফিরতে একসঙ্গেই রাস্তা পার হচ্ছিলেন তারা। এসময় কক্সবাজারমুখী নম্বরবিহীন একটি পিকআপ তাদের চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হন।
এ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে নিলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। গাড়িটি শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে।
বিষয়টি জানতে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে মালুমঘাট এলাকার বাসিন্দা ডুলাহাজারা ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম আর মাহবুব জানান, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া থেকে মালুমঘাট এসে বসতি গড়ার পর সুরেশ চন্দ্র শীল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিতেন। তার ছেলেরা কুতুবদিয়ায় থেকে বাবা-মায়ের কাছে আসা যাওয়া করতেন।
তিনি আরও জানান, গত ১০ দিন পূর্বে ডা. সুরেশ পরলোক গমন করেন। বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও শ্রাদ্ধ করতে সন্তানরা পরিবারসহ রিংভংয়ে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলেন। ধর্মীয় রীতি অনুসারে ভোরে সন্তানরা শ্রাদ্ধ করতে বের হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু
বাসায় ফেরার পথে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৪ ভাই নিহত হন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হাসপাতাল ও রিংভংয়ে তাদের বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ বিরাজ করছে।
সান নিউজ/ এইচএন