আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে বিরামহীনভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান। উদ্ধারকারীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে ততই জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
মূলত আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে তৎপড়তা জোরালো করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর এরই মধ্যে পাঁচদিন পাড় হয়েছে। এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা। তুরস্কের কাহরামানমারস থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার এ তথ্য জনিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চারপাশে মৃতদেহের গন্ধ পাচ্ছি। আমরা বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেখেছি এবং অনেক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এখানে উদ্ধারকারীরা জানে যে তাদের এখন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার ৬৬৫ তে পৌঁছেছে। দক্ষিণ তুরস্কের ভূমিকম্প অঞ্চল থেকে প্রায় ৯৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এক লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি কর্মী উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টায় জড়িত।
এদিকে, সিরিয়ায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভূমিকম্পের পর দুই দেশে অন্তত আট লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরিভাবে খাদ্যের প্রয়োজন। ভূমিকম্পের কারণে শুধুমাত্র সিরিয়াতেই ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমে ২ ইসরাইলি নিহত
এদিকে ভূমিকম্পের পাঁচদিন পর তুরস্কে ধ্বসংস্তূপ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধসে পড়া ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ওই দুই নারী ১২২ ঘণ্টা আটকা ছিল।
সান নিউজ/এসআই