ইবি প্রতিনিধি: কোন প্রকার কারণ উল্লেখ না করেই একান্ত সচিব (পিএস) আয়ূব আলীকে অব্যাহতি দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: মাঠে কাজ করা গৌরবের বিষয়
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
এদিকে পিএসকে অব্যাহতির পর নিজেই ছুটিতে চলে যান উপাচার্য। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একাধিক নিয়োগ অডিও ফাঁসের জেরেই এমনটা করেছেন বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: খালেদা রাজনীতি করতে পারবেন না
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান জানান, ‘ভিসি স্যারের নির্দেশে পিএসের অব্যাহিতর আদেশপত্র প্রস্তুত করেছি। তবে তিনি অব্যাহতির কোন কারণ জানাননি আমাকে।’
এদিকে সকাল আটটায় উপাচার্য সপরিবারে ভিসিবাংলো ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এবিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপাচার্য ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে গেছেন। মার্চের ৩ বা ৪ তারিখ পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকবেন। হঠাৎ পিএসের অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি উপাচার্যের ব্যক্তিগত বিষয় যে তিনি কাকে রাখবেন বা রাখবেন না। আমি এবিষয়ে তেমন কিছু জানি না।
আরও পড়ুন: বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৫
ক্যাম্পাস সূত্রে, ভিসির পিএস আয়ূব আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন করেছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। এসময় তাকে মারধর করাসহ তার কার্যালয় ভাঙচুরও করেন ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতাকর্মী। বিএনপি সংশ্লিষ্টতা ও দূর্নীতির সাথে যুক্ত থাকায় তার পদত্যাগ চায় তারা। তবে ঘটনায় আয়ূবের বিষয়ে তখন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপাচার্যের একাধিক নিয়োগ অডিও ফাঁস হলে উপাচার্যের অপসারণে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীপ্রত্যাশী সাবেক কিছু ছাত্রলীগকর্মী। দুইদিন উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেন তারা। পরে ক্যম্পাসে মাইক ভাড়া করে উপাচার্যের অডিও বাজানো হয়।
এদিকে আন্দোলনের পর গত বুধবার উপাচার্যের সাথে তার বাসভবনে দেখা করেন চাকরীপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগকর্মী টিটু মিজান ও রাসেল জোয়ার্দার। পরদিন বৃহস্পতিবার হঠাৎ কোন কারন না জানিয়েই পিএসকে অব্যাহতি দেন উপাচার্য। সেই সাথে ১০ দিনের ছুটিতে চলে যান উপাচার্য অধ্যাপক সালাম।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টরের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
এদিকে অডিও'র বিষয়টি নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারী লিখিত একটি বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, ব্যাক্তিগত আলাপ-আলোচনা সংযোজন, বিয়োজন করে অডিওগুলো করা হয়েছে। যেখানে কথিত নিয়োগ বোর্ডটি এখনো অনুষ্ঠিতই হয়নি। তার প্রশ্নপত্রও তৈরি হয়নি। নিয়োগ বোর্ডের সকলের উপস্থিতিতেই পরীক্ষার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রশ্ন তৈরি করা হয়। ইউজিসি চাইলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
সান নিউজ/এমআর