জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে ১টি পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
আহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার নিকলা নয়া পাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া (৫৫), নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩২), কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে তৌফিক (৭), গিলাবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা (২৮), গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল (৮), মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল (৩০), চিতুলিয়াপাড়ার মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন (৮), চিতুলিয়াপাড়ার নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম (২), চিতুলিয়াপাড়ার শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম (৩)। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নকল ওরস্যালাইন সহ গ্রেফতার ৩
আহত সুজন মন্ডল জানান, বাড়ির ছাগলকে একটি পাগলা কুকুর কামড়াচ্ছে দেখে এগিয়ে গেলে কুকুরটি আমাকেও কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুপক বলেন, কুকুড়ের কামড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০ টাকায় চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরের সব ফার্মেসিতে সাড়ে ৪০০ টাকা করে ভ্যাকসিন কিনে দিতে হচ্ছে। ভুঞাপুরে এর আগেও কুকুড়ে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
আরও পড়ুন: ফের গরম সবজির বাজার
বিষয়টি স্বীকার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সোবহান বলেন, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আহতদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, পাগলা কুকরটিকে আটক করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ