নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ স্বজন ও সহকর্মীদের চোখের জল এবং কর্মকর্তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ফ্রিজিং ভ্যানে রাজারবাগ ছাড়লেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াই টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে জানাজার নামাজ শেষে ফ্রিজিং ভ্যানে করে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।
নিহত পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। তার বাবার নাম সেকান্দার আলী।
আরও পড়ুন: হরতালের উত্তাপ নেই বেনাপোল বন্দরে
এর আগে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব অনার’। এ সময় করুণ সুরে বেজে ওঠে বিউগল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, এমন নৃশংস ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমিরুল ইসলামকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, অসম্মান করা হয়েছে, এটি সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে করা হয়েছে। এর উপযুক্ত ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: হরতালের উত্তাপ নেই বেনাপোল বন্দরে
নিহত আমিরুলের পরিবার ও সন্তানের পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বহন করবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফকিরাপুল ৪ রাস্তার মোড়ে বিএনপির সাথে সংঘর্ষের সময় ডিউটিতে থাকা অবস্থায় পিটুনিতে মারা যান পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম।
সান নিউজ/এনজে