নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। রাজনীতির বিরোধীতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন : ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলছে, শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কথা বলে তারা।
আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬
তিনি বলেন, বিএনপির সব নেতা একে একে জেল থেকে বের হয়েছে। তারপরও বলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কে বলেছি, নির্যাতিত ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকাটা প্রকাশ করেন। কেউ অপরাধ করলে, আগুন সন্ত্রাসের মামলা, মানুষ খুনের মামলার আসামি যারা জেলে রয়েছে তাদের জন্য বিএনপির এত মায়া কান্না কেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, গরিবের জন্য মায়া কান্না করে। তাদের আমলে জিয়াউর রহমানের সময়ে অভাবের তাড়নায় রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল অনেক নারী। সে ইতিহাস কি ভুলে যান!
আরও পড়ুন : ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যারা ঢাকা সিটিতে, এত ভিক্ষুক কেন এমন প্রশ্ন করেন তাদের লজ্জা করে না তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টের দিনে রোজার মাসে কোন প্রকার সাহায্য করেনি। ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেনি। বড়লোকদের নিয়ে বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির উদ্ভট কথায় আওয়ামী লীগ কান দেবে না। বিপদে অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
সান নিউজ/এমআর