কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক নার্সের অবহেলায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বোয়ালমারী পৌরশহরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আরও পড়ুন : দেশের মানুষ ভুল করে না
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল গ্রামের মফিজুর রহমান (৬০) নামের এক শ্বাসকষ্টের রোগী ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন। মফিজুর রহমান শ্বাসকষ্টের রোগী হওয়ায় তাকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেওয়া লাগবে বলে রোগীর স্বজনদের জানান চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম। ওই সময় মিতু খানম নামক এক নার্স ডিউটিরত ছিলেন।
মফিজুর রহমানের স্বজনরা জানান কর্তব্যরত নার্সকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ভর্তির কিছু সময় পরে রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলেন। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সাথে সাথেই নার্স মিতু খানমকে জানানো হয়। কিন্তু নার্স স্বজনদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এর কিছু সময় পরেই মফিজুর রহমানের মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন : ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ
রোগীর ভাই মো. হাফিজার রহমান বলেন, 'অক্সিজেন মাস্ক খোলার পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে নার্স মিতু খানমকে বিষয়টি সাথে সাথে জানাই। এ সময় মিতু খানম বলেন, হাসপাতালে এক হাজার রোগী ভর্তি। আমি কি একা এক হাজার লোকের সেবা দেব?'
অভিযুক্ত নার্স মিতু খানমের বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন স্টাফ থেকেও তার মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করা যায়নি।
আরও পড়ুন : বাঙালির সকল ঐতিহ্যে আ’লীগ যুক্ত
এ ব্যাপারে ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'ওই রোগীকে পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি করি। প্রেসার ছিল ৭০/৯০। স্যালাইন দেওয়া যাবে না। শ্বাসকষ্ট কমার জন্য একটি ইনজেকশন দেই। অক্সিজেনের পরিবর্তে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য অক্সিজেন মাস্ক খোলা হয়।'
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. নাহিদ আল রাকিব বলেন, 'ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি হাসপাতালে গিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্য এবং নার্সের সাথে কথা বলেছি। পরে বিষয়টি থানাকে অবহিত করেছি। থানা পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।'
সান নিউজ/এমআর