ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা

গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ল নোয়াখালীর ১৮ শিক্ষার্থী  

নোয়াখালী প্রতিনিধি: প্রচন্ড গরমের কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: শেখ জামালের জন্মদিনে যুবলীগের শ্রদ্ধা

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া দশটা থেকে বেলা ১১টার টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুল এ ঘটনা ঘটে।

পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়।

একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন, অষ্টম শ্রেণির ২ জন, নবম শ্রেণির ২ জন ও দশম শ্রেণির ২ জন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের কারো পেট ব্যথা, কারো মাথাব্যথা, কারো চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণি শিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান।

পরে তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষাটা হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা এরই মধ্যে গরমের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

অপরদিকে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল।

আরও পড়ুন: সোনার দাম ফের কমলো

১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাই স্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের পিএইচডি নিয়ে জালিয়াতিসহ নানা দুর্নী...

খাগড়াছড়িতে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

ভূমিদস্যুদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়...

টঙ্গীবাড়িতে আরিফ হালদারের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

এসএসসির ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস...

রোহিঙ্গা হেড মাঝিকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে তুল...

ববির শিক্ষার্থীদের উপর হামলা

জেলা প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কমপক্ষে ১০ জন শ...

বজ্রপাতে ইলেকট্রনিক্স পন্যের নিরাপওা 

লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলমান তীব্র গরম...

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা