ক্রীড়া ডেস্ক:
চীনে করোনাভাইরাস শনাক্তের ৫০ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে এ ভাইরাসের প্রতিষেধক আসতে দেড় বছরের মতো সময় লাগবে। তবে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক বিজ্ঞানীর দাবি, আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুই হাজার ১২৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭২৫ জন।
ভাইরাসটি যখন মহামারী রূপ নিতে যাচ্ছে, তখনও এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে তেমন সুখবর দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। কয়েক দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন ভাইরোলজিস্টরা। আর তাদের সফল হতে লাগবে আরও ১৮ মাস!
এমন খবরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ১৮ মাস নয়, আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতালিতে এক গবেষণাগারে এই প্রতিষেধক প্রস্তুতে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।
প্রতিষেধক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনার ইনস্টিটিউটের প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট জানিয়েছেন, এ নিয়ে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে দ্রুত কাজ করছেন। শিগগিরই এই প্রতিষেধক প্রস্তুত করা হবে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষেধকটির অন্তত এক হাজার ডোজ ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীদের এই দলটিই ২০১২ সালে ছড়িয়ে পড়া মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস মোকাবেলায় গবেষণা করছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাকেই এখন কাজে লাগাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট বলেন, কভিড-১৯ ও মার্স একই গোত্রের ভাইরাস। তাদের আচরণ ও প্রার্দুভাবের বৈশিষ্ট্যও এক। তাই মার্স নিয়ে করা পরীক্ষার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা এখানে সফল হব।
এতো দ্রুত ভাইরাসটির প্রতিষেধক কীভাবে বানানো সম্ভব জানতে চাইলে গিলবার্ট বলেন, কভিড-১৯ এর প্রতিষেধক প্রস্তুতে দেড় বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হলেও আমরা বেশ কয়েকটি ধাপ দ্রুত অতিক্রম করেছি। তা হলো অন্য সব করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় কমিয়েছি। এটি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে অ্যাডভেন্ট।
এরইমধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বের অন্তত ২৮ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে। এই প্রমোদতরীতে ৬২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ইরানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দু’জন মারা গেছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম একজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.