নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ ঘিরে আবারও অস্থির বাজার। দুই দিন আগেও গরুর মাংস ছিল ৭৬০ টাকা কেজি, কী এমন হইলো যে দুই দিনে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়লো আর খাসির মাংস কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৫ দিন বন্ধ আমদানি-রফতানি
বুধবার (১০ এপ্রিল) মিরপুর ১১ ও ১২ নম্বরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে মুরগি ও গরুর মাংসের দোকানের সামনে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু মাংসই নয়; চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু ও মসলাজাতীয় পণ্যসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে গরু কিছুটা কম আসায় মাংসের দাম বেড়ে গেছে। তাদের যুক্তি, ঈদে গরু ও মুরগির মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। বাড়তি চাহিদার কারণে বাজারে দামও একটু বেড়ে যায়। ঈদের পর দাম আবার স্বাভাবিক হবে।
আরও পড়ুন: ফের সোনার দামে রেকর্ড
মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসলার দাম। প্রতি কেজি এলাচ ২৮০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মসলার দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জয়ফল প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকা, আলুবোখারা ৪৮০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২৯৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনা বাদাম ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।
।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এরই মধ্যে ডানো, পুষ্টি ও ডিপ্লোমাসহ ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দামও বেগেছে। খোলা চিনি ১৪০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও কেজিতে ৫-১০ টাকা বাড়তি রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০০ বগি কিনছে সরকার, ব্যয় ১৬২৬ কোটি
মাংস-মসলার পাশাপাশি বেড়েছে চালের দামও। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিকন মিনিকেট ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৮০ টাকা ও মোটা আটাশ চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি দাম তুলনামূলক কম হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কয়েকদিন মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে রমজানের মাঝামাঝি থেকে সবজির দাম কমতে শুরু করে। আবার ঢাকা থেকে অনেক মানুষ চলে যাওয়ায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমে যায়।
সান নিউজ/এএন