আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে ‘মৃত্যুপুরী’ বলেছেন বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। শনিবার (১৮ নভেম্বর) জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাসপাতালটি পরিদর্শনের পর এই মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একদিনে নিহত ৪৭
গাজায় আগ্রাসনের ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকদিন ধরে উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। গত সপ্তাহেও হাসপাতালটিতে ৬৫০ গুরুতর রোগীসহ কয়েক হাজার শরণার্থী ছিল।
তবে শনিবার ইসরায়েলি সেনারা এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিলে কোনোরকমে জীবন নিয়ে পালাতে শুরু করে রোগী ও চিকিৎসাকর্মীরা। কিন্তু পালানোর সময়ও রোগী ও চিকিৎসকদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের বিচার করা উচিত
এমন পরিস্থিতির মধ্যে এদিন ডব্লিওএইচওয়ের নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের একটি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শনের পর তারা জানান, তারা আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ইসরায়েলি সেনাদের গোলাবর্ষণের প্রমান পেয়েছেন।
এছাড়াও হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে একটি গণকবর দেখেছেন তারা। ওই গনকবরে ৮০ জনের মরদেহ রয়েছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আল-শিফা হাসপাতালে শত শত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৭৯ জনকে হাসপাতালের সামনেই গণকবর দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জনের লাশ কবর থেকে তুলে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে ব্যর্থ
গাজার বৃহত্তম ও সবচেয়ে উন্নত হাসপাতালটি এখন জনশূন্য প্রায়। গতকাল হাসপাতাল খালি করার আল্টিমেটামের পর বেশিরভাগ রোগী ও আশ্রয় নেয়া বেসামরিক নাগরিক হাসপাতাল ছেড়েছেন। অল্প কিছু রোগী এখনও হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
হাসপাতালটির পরিচালক জানিয়েছেন, এখনও গুরুতর অসুস্থ ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে রয়েছেন। তাদেরও অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। হাসপাতালের অবশিষ্ট রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের গাজার অন্য হাসপাতালগুলোতে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সান নিউজ/টিও