সান নিউজ ডেস্ক: সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কারও ভিসা বাতিল করলে তাকে তা জানানোর বিধান আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেশটির কোনো দায়িত্বশীল দপ্তরের কাছ থেকে পাইনি। আমি যতটুকু জানি, আমার বৈধ ভিসা আছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক অনুষ্ঠানে ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আজিজ সরাসরি তা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তিনিও গণমাধ্যমেই এই সংবাদ শুনেছেন।
আজিজ আহমেদ বলেন, ‘কয়েক শ কোটি নয়, আমাকে সামান্য কিছুর সূত্র দিন, যাতে বাকি জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে পারি। শত শত কোটি নয়, যদি...বলতে পারেন লাখ লাখ বা এক-দুই কোটি টাকা আছে, তাহলে ওটা দিয়ে আমি পরিকল্পনা করব আমার ভবিষ্যৎটা স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারে কি না।’ তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মনগড়া হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। অবসরজীবন নিয়ে তিনি বলেন, অবসরের পর তিনি এখন দায়িত্বের চাপ থেকে মুক্ত। এ মুহূর্তে পোস্ট ডক্টরাল করছেন, সেই বিষয়ে গবেষণা করেই সময় কাটাচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বলা হয়েছিল সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাস্তবে গণমাধ্যমগুলো যথাযথ সূত্র ও তথ্য-প্রমাণ উল্লেখ না করেই এই বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ নতুন নাম আর ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘কত লাখ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে আছেন, তাঁদের কি নিজস্ব নাম, পিতৃপরিচয় বা ঠিকানা অ্যাকচুয়েলটা ইউজ করছেন?’
নাম-পরিচয় পরিবর্তনে প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা উদাহরণ দেন কোনো জায়গায় আমি কাউকে টেলিফোন করেছি কি না, যে আপনি একে নির্দেশ দিয়েছেন যে এটা করে দাও। এ রকম কোনো এভিডেন্স কি আপনাদের কাছে আছে? প্রমাণ দেন।’
আজিজ আহমেদ চ্যালেঞ্জ করেন, সামরিক বাহিনীতে সিগন্যাল সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আল-জাজিরা টেলিভিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটা পুরোপুরি মিথ্যা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমার ভাই এই কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি যে, এর ক্রয়ের সঙ্গে আমার কোনো ভাই বা আত্মীয়-স্বজন জড়িত ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, আমি সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পরেই সিগনাল সরঞ্জাম ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২৬ জুন ২০১৮ সালে চুক্তি সম্পাদন করে। আর আমি ওই বছরের মধ্যে ২৫ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করি। একদিনের মধ্যে কিভাবে এখানে দুর্নীতি হলো?
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ বলেন, আগামী (২০২২) জুনের ২৫ তারিখের পর আমার সম্পূর্ণ রিটায়ারমেন্ট শুরু হবে। তখন আমি চিন্তা করব এ ব্যাপারে কী করা যায়।
সান নিউজ/এমকেএইচ