জাহিদ রাকিব: গণস্বাস্থ্যর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, এডিস মশা নিধনে আমি সরকারকে বলেছি দেশের ১ কোটি গরীব মানুষকে মশারি বিতরণ করতে। কিন্তু সরকার তা না করে জনগণের সাথে মশা মারার ওষুধ নিয়ে ধাপ্পাবাজি করছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত নগরীর মশা নিবারণে সমস্যা টেকশই সমাধানের রূপরেখা সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ সেমিনারে বলেন, ২৪২ বছরের পুরোনো রোগ এই ডেঙ্গু। সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ডেঙ্গুর ৫ টি ধরণ পাওয়া গেছে। পৃথিবী যখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে, আর আমরা এখনো আদিম যুগের ফগিং মেশিন নিয়ে এডিস মশা নিধনের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর যারা মারা যাচ্ছে তারা সবাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে মারা যাচ্ছে। ফলে আপনাদের কারো ডেঙ্গু হলে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ না করে প্যারাসিটামল গ্রহণ করলে দ্রুত সুস্থতা সম্ভব।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স আয়োজিত সেমিনারে কীট তত্ত্ববীদ মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা এখনো মশক নিধনে কোন কার্যকরী পলিসি ঠিক করতে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন, নগরকেন্দ্রিক ভাইরাসজনিত রোগ যেমন ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া জিকার ক্ষেত্রে সরকারের কোন রাজনৈতিক অঙ্গীকার নেই। মশক নিধনে আমাদেরকে শক্ত রাজনৈতিক অঙ্গীকার গ্রহণ করতে হবে।
একই সেমিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত নগরীর কোন জায়গায় এডিস মশার লার্ভা বেশী তা জরিপ করে দেখা হয়নি। ফলে মশার হটস্পট আমরা চিহ্নিত করতে পারি নাই। আর আমরা কি করি মান্দাতা আমলে ফগিং মেশিন নিয়ে ব্যস্ত।
সেমিনারে বক্তারা এডিস মশা নিধিনে ঢাকার দুই সিটির মশন নিধনে নানারকম অবহেলার দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনতে চায় না। তারা নিজেদের খামখেয়ালি করে কাজ করে আর তার ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সেমিনারে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এর পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় মতামত রাখেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর চৌধুরী, ড. সাইফুর রহমান, ডা. সরদার নাঈম, ডা. মালিহা মান্না, ডা. আসমা খান।
সান নিউজ/এমকেএইচ