মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর আলহাজ্ব মো. মহিউদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতার কথা বলতে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলতে হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লো
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আউলিয়া কুলের লোক ছিলেন বলেই স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছেন। তিনি পীর শেখ আউয়ালের বংশধর ছিলেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই সংগ্রামী জীবন যাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুভাষ চন্দ্র বসুর হল-ওয়েল আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। অতপর ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি বুধবার (২৩ মার্চ) জেলা কালেক্টরেট মাঠে বিকেল ৫ টার দিকে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা অংশগ্রঞন করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মঞ্জুরুল আলম, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল হাই তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান আনিস, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাস চন্দ্র হীরা, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম হিরু।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের প্রভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে
এতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রেক্ষাপট মুন্সীগঞ্জ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান খান।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে শুরু হয়ে মেলা সমাপনী হল আজ বুধবার। আলোচনা সভা আগে মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ট্রাক শো করেন জেলা শহরে। আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণের পর পুরস্কার বিতরণ, নাটক প্রদর্শন করা হয়।
সান নিউজ/এমকেএইচ