মতামত

চামড়ার মূল্য ধসে হতাশ গরিব মানুষ

ড. জাহাঙ্গীর আলম

সম্প্রতি চামড়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে রফতানির ভিত্তি। বেড়েছে আমাদের রফতানি আয়। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে দ্রæত কমেছে কাঁচা চামড়ার দাম। তাতে হতাশ হয়েছে চামড়া উৎপাদনকারী শ্রেণী। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোরবানির চামড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থের ভাগিদার হতদরিদ্র মানুষ, এতিম ও মিসকিন। কাঁচা চামড়ার সরবরাহ বৃদ্ধি পায় কোরবানির ঈদের সময়। তখন এর দাম কমে যায়। চামড়া পচনশীল বিধায় তা ধরে রাখতে পারেন না।

এ সময় খুব তৎপর থাকেন বড় ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের সিন্ডিকেট। বিভিন্ন অজুহাতে তারা চামড়ার দাম কমায়। এ সময় চামড়া উৎপাদনকারীদের দর কষাকষির তেমন সুযোগ থাকে না। যেটুকু মূল্য পায় তাতেই বিক্রি করে দেয় কাঁচা চামড়া। এর বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক দরিদ্রজন, এতিম ও মিসকিন। চামড়ার দর পতনে সমূহ ক্ষতি হয় তাদের। আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয় তারা। তাতে বিঘিœত হয় দারিদ্র্য বিমোচন।

জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত চামড়া শিল্প। এ শিল্পের অধীনে আছে ২২০টি ট্যানারি আছে। অসংখ্য জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ও সুদর্শন সরঞ্জামাদি তৈরির কারখানা। তাতে সরাসরিভাবে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। স্থ’ূল দেশজ আয়ে (জিডিপিতে) চামড়া শিল্পের শরিকানা প্রায় ০.৪০ শতাংশ।

মোট রফতানি আয়ে এ খাতের অবদান ৩.৩২ শতাংশ। তৈরি পোশাক শিল্পের পর রফতানি আয় অর্জনের ক্ষেত্রে এ খাতের স্থান কখনও দ্বিতীয়, কখনও তৃতীয়। বছরের পর বছর এ খাতের রফতানি আয় বাড়ছে। কিন্তু চামড়া উৎপাদনকারী কৃষক, প্রান্তজন, এতিম ও মিসকিন বাড়তি রফতানি আয়ের ন্যায়সঙ্গত হিস্যা পাচ্ছে না।

বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ২০১২-১৩ সালে দেশের চামড়া রফতানির আয় ছিল ৬৯২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ সালে তা ১,২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি পায় (পাদুকা মূল্যসহ)। এ সময় চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা রফতানির আয় বেড়েছে। চামড়া শিল্পে বহুমাত্রিকতা ও বৈচিত্র্য এসেছে।

বিদেশে সম্প্রসারিত হয়েছে আমাদের চামড়ার বাজার। অবশ্য গত ২ বছর চামড়ার বাণিজ্য কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা ও তেলের মূল্য হ্রাসের কারণে বহির্বিশ্বে কোথাও কোথাও চামড়াজাত দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। মূল্যও হ্রাস পেয়েছে।

তবে বাংলাদেশী দ্রব্যের চাহিদা বেড়েছে। রফতানি আয়ও গড়পড়তা বেড়েছে। তাতে লাভবান হয়েছে দেশ। লাভবান হয়েছে চামড়া শিল্পের মালিকগণ ও রফতানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীগণ। কিন্তু কাঁচা চামড়ার উৎপাদনকারীগণ এবং এর বিক্রয়লব্ধ অর্থের অংশীদারগণ ঠকেছেন। তাদের চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। গত ১০ বছর ধরে ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে কাঁচা চামড়ার সংগ্রহমূল্য। ২০১৩ সালে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও খাসির চামড়ার দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ২০১৫ সালে এর ইউনিট মূল্য হ্রাস পেয়ে গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুট মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং খাসির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকায় এসে দাঁড়ায়।

২০২০ সালে তা আরও হ্রাস পেয়ে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকায় নেমে আসে। এবার ২০২১ সালে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫ টাকা ও খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২ টাকা বাড়িয়ে গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুট মূল্য ৪০-৪৫ টাকায় এবং খাসির চামড়ার মূল্য ১৫-১৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। এবারের নির্ধারিত দামে প্রতিটি বড় গরুর চামড়ার মূল্য দাঁড়ায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং ছোট গরুর চামড়ার মূল্য দাঁড়ায় ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।

কিন্তু এবারের কোরবানির দিনে ও তারপরে তৃণমূল পর্যায়ের চামড়া উৎপাদনকারীগণ এক-তৃতীয়াংশ দামও পাননি। বর্গফুটের পরিমাপে চামড়া বিক্রি হয়নি কোথাও। প্রতি পিস হিসেবে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় এবং খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। অনেকে চামড়ার উপযুক্ত দাম না পেয়ে পুঁতে ফেলেছে মাটির নিচে, কিংবা ছুড়ে ফেলেছে নদীতে বা খালে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চামড়ার দরপতনের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। দৈনিক জনকণ্ঠের এক সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ, এবার পানির দরে বিক্রি হয়েছে কোরবানির চামড়া। বর্গফুট হিসেবে যে চামড়ার দাম আসে ২ হাজার ৫০০ টাকা তা বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তেমন দেখা না পেয়ে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে চামড়া দিয়ে দিয়েছেন গ্রাম ও নগরবাসী। নীলফামারীতে ঈদের দিন প্রথম দিকে দু’ শ’ টাকা হিসেবে গড় দরে গরুর চামড়া বিক্রি হলেও বিকেলে তা নেমে আসে মাত্র ১০০ টাকায়। অপরদিকে বড় খাসির চামড়া প্রতি পিস ২০ টাকা হলেও ছোট খাসির চামড়া কেউ কিনতে চায়নি। ফলে অনেকে খাসির চামড়া রাস্তায় ফেলে দিয়েছে বা মাটির নিচে পুঁতে ফেলেছে। আমার এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকেও চামড়ার মূল্য ধসের অনুরূপ তথ্য পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে দৈনিক যুগান্তর জানিয়েছে, ৫০ টাকা ১০০ টাকার মধ্যে গরুর চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক কোরবানিদাতা। রাজশাহীতে খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে। বকরির চামড়া প্রতি পিস ১০ টাকা। দৈনিক ইত্তেফাক জানিয়েছে অধিকাংশ গরুর চামড়াই বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। পোস্তার আড়তে চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০-৫৫০ টাকায়।

চামড়ার মাপ যাই হোক সাভার শিল্পনগরীতেও ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি দামে আড়তদাররা গরুর চামড়া কিনছেন না বলে জানিয়েছে যুগান্তর। ট্যানারি ও আড়ত মালিকদের কারসাজিতে সরকারের বেঁধে দেয়া কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কার্যকর হয়নি। ফলে প্রকৃত দাম না পেয়ে ঢাকায় অবস্থিত পোস্তার আড়তের সামনে, বগুড়ার রাস্তায় ও করতোয়া নদীসহ আরও অনেক স্থানে চামড়া ফেলে দেয়া হয়।

তাছাড়া রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আশপাশের আড়তের সামনের সড়ক ও লালবাগ সড়কেও অনেক চামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাভজনক দামে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এসব চামড়া রাস্তায় ফেলে যায়। এদিকে রাজধানীর সড়কের ওপর চামড়া ফেলে যাওয়ায় পচে নষ্ট হয়ে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার কোরবানির পশুর বর্জ্য সম্প্রসারণ কার্যক্রম তদারকি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, রাস্তার পাশাপাশি অনেক এলাকার নালা-নর্দমাতেও চামড়া ফেলা হয়েছে। কর্পোরেশনের কর্মীরা এসব পরিষ্কার করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৪ জুলাই)।

এ সকল উদাহরণ থেকে উপযুক্ত দামে চামড়া ক্রয় এবং তা সংরক্ষণে ট্যানারির মালিক, আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের অবহেলা ও অনীহার ভাবই সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাদের অসাধু ও অনভিপ্রেত গাঁটছড়ার কারণেই নিরুপায় হয়ে উৎপাদনকারীগণ পানির দামে বিক্রি করে দেন কাঁচা চামড়া। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র মানুষ।

এবার একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে লবণের কৃত্রিম সঙ্কট। ঈদের আগের দিন ৭৪ কেজি বস্তা লবণের দাম ছিল ৫০০ টাকা। ঈদের দিন তা ৭০০ টাকা এবং পরে তা ১২০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। সরকারীভাবে জানানো হয়েছে, লবণের কোন সঙ্কট নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল ভিন্ন। এটা লবণ ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সরকার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার কাঁচা চামড়ার অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে। চামড়ার সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ এবং সরকারের নিবিড় মনিটরিংয়ের কারণে তা সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ের বেসরকারী পর্যবেক্ষণে তার সমর্থন মিলেছে বলে মনে হয় না। এবারের কোরবানিতে পশু বিক্রি হয়েছে মোট জোগানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। তারও ১০ থেকে ১৫ ভাগ চামড়া অপচয় বা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এটি দেশের জন্য সমূহ আর্থিক ক্ষতি।

বাংলাদেশে যে পরিমাণ চামড়া উৎপাদন হয় তার প্রায় অর্ধেক পাওয়া যায় কোরবানির ঈদে। এর মোট আকার প্রায় ২৫ কোটি বর্গফুট। এতে গরুর চামড়া রয়েছে ৬৪.৮ শতাংশ, ছাগলের চামড়া ৩১.৮ শতাংশ, মহিষের চামড়া ২.২ এবং ভেড়ার চামড়া ১.২ শতাংশ। বর্তমান বাজার দরে এর ক্রয়মূল্য হবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

মোট উৎপাদিত চামড়ার ক্রয়মূল্য এবং তার প্রক্রিয়াকরণ খরচ মিলে দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তা রফতানি করে বিক্রয়লব্ধ আয় হচ্ছে (পাদুকা মূল্যসহ) প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য এবং রফতানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ বাদ দিলেও প্রচুর লাভ হওয়ার কথা চামড়া ব্যবসায়ীদের। তার ওপর শতকরা ১৫ ভাগ হারে রফতানি সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এমতাবস্থায় চামড়া ক্রয়ে ট্যানারি মালিকদের অনীহা ও কাঁচা চামড়ার ক্রয়মূল্যে ধস নামার কারণ ভালভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। আড়তদারগণ বলছেন, ট্যানারির মালিকদের কাছে তাদের বকেয়া পাওনা রয়ে গেছে অনেক দিনের।

তাদের আছে অর্থ সঙ্কট। ট্যানারির মালিকগণ বলছেন, তাদেরও চরম দুর্দিন। ঋণের অভাব। অথচ গত বছরও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আট শতাধিক কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ট্যানারির মালিকদের। এবারও তারা ঋণ পেয়েছেন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। তাছাড়া খেলাপী ঋণের ৩ শতাংশ পরিশোধ করে ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। অধিকন্তু তাদের মধ্য থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ওয়েট বøু লেদার রফতানির সুযোগ দিয়েছে সরকার।

সুতরাং ব্যবসাকে চাঙ্গা করার মতো সুযোগ-সুবিধা তাদের রয়েছে। এক সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, প্রতি বর্গফুট চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর ট্যানারির মালিকগণ ২৫ থেকে ৩০ টাকা লাভ করে থাকেন। বিদেশে ফিনিশড লেদার বিক্রি এবং চামড়াজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এই লাভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ সমীক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার পর্যন্ত চামড়ার ভ্যালু চেন বিশ্লেষণ করা দরকার।

বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পগুলো এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ঢাকা শহরের হাজারীবাগে স্থাপিত ট্যানারিগুলোকে সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তাতে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে ট্যানারি শিল্প। উন্নত হবে পরিবেশ। দৃষ্টি প্রসারিত হবে বিদেশী ক্রেতাদের। ইতোমধ্যেই সাভারের শিল্পনগরীতে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারটি নির্মিত হলেও তা এখনও অসম্পূর্ণ। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।

ধলেশ্বরী নদীতে দূষিত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানি পড়ে তা বিষাক্ত করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণের অনেক ক্ষোভ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার তথা সিইটিপির কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে। এর পরই আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রæপের সনদ অর্জনের জন্য নিরীক্ষার কাজ শুরু হবে। এ শিল্পনগরটি পুরোদমে চালু হলে চামড়া শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চামড়া শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে আগামী ৫ বছর আর্থিক প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি সব রফতানি খাতের জন্য সমান নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। বর্তমানে সাভারে ১৯৯ একরেরও বেশি জমির ওপর গড়ে উঠেছে চামড়া শিল্পনগরী। এর পাশে আরও ১৫০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পকারখানা গড়ে তোলার জন্য। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ।

তাতে বিদেশে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য রফতানির সুযোগ প্রসারিত হবে অদূর ভবিষ্যতে। এখানে শ্রমিকের মজুরি কম। চামড়াজাত পণ্যের উৎপাদন খরচও অনেক কম। চামড়ার মানও ভাল। সেক্ষেত্রে চামড়ার সরবরাহ বৃদ্ধি করা খুবই দরকার। এর জন্য কাঁচা চামড়ার ক্রয়মূল্য উৎপাদনকারীদের জন্য উৎসাহজনক হতে হবে। তাদের কাছে লাভজনক হতে হবে চামড়ার বিক্রয়মূল্য। এর জন্য চামড়া ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়ন অত্যাবশ্যক।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত

[email protected]

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

আজও বায়ুদূষণে ঢাকা সপ্তম

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজধানীর বাতাস অস্...

ভোটে মানুষের আস্থা ফিরেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে তীব্র গরমে...

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : খেয়াল-খুশিমতো সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো...

হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আব্দুর রহমান না...

ইরফান খান’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা