এক ইউরোপীয় রমনীর মসলিনের পোশাক। ১৮৫৫ সালে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অব আর্টে মসলিনের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিলো। প্রদর্শনীতে এই পোশাকটি স্থান পায়। সোর্স—ব্রিটিশ লাইব্রেরি
ঐতিহ্য ও কৃষ্টি
হারিয়ে গেল মসলিন

নিজেই আঙ্গুল কাটতো তাঁতী

আহমেদ রাজু

মসলিন কাপড় বিলুপ্ত হওয়া সম্পর্কে এতদিন একটি ধারণা প্রচলিত ছিলো ইংরেজ সরকার তাঁতীদের আঙ্গুল কেটে দিতো। যদিও এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষণায় বেরিয়ে আসছে তাঁতীরা মসলিন বোনার কাজ করতে আগ্রহী ছিলো না। তাই তারা নিজেই নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে ফেলতো, যাতে এই কাজ আর করতে না হয়।

পলাশীর যুদ্ধের পর মসলিন সংগ্রহের জন্য গোমস্তা নিয়োগ করে কোম্পানি সরকার। তারা ছিলো কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মচারী। এই গোমস্তারা মসলিন সংগ্রহের জন্য হয়ে উঠে নিষ্ঠুর। চালাতে থাকে অমানবিক নির্যাতন-অত্যাচার। মসলিন তাঁতীরা তখন দিশেহারা হয়ে উঠে।

গরীব চাষীকে টাকা ধার দিয়ে কম দামে তার কাছ থেকে নেয়া হতো কার্পাস। দেশি মানুষদের মধ্যে এক শ্রেণির লোক দালাল ও পাইকার হিসেবে কাজ করতো। তারা তাঁতীদের ঠকাতো।

১৭৬০ সালে এক টাকায় পাওয়া যেতো একমণ চাল। একজন তাঁতি তখন মসলিনের কাজ করে মাসে পেতো দুই টাকা। অর্থাৎ একমাস কাজ করে পেতো দুই মণ চালের দাম!

এতো কম মজুরি পাওয়ায় তাদের পরিবারের খাবারই জুটতো না। তবুও গোমস্তারা জোর-জবরদস্তি করে মসলিন বুনতে বাধ্য করতো তাঁতীদের।

এরপর ঢাকাই মসলিন রফতানির ওপর উচ্চহারে করারোপ করা হয়, ফলে বিলেতে মসলিনের দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিক। সেখানে বিক্রি কমে যায় মসলিন।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজ সরকার স্থানীয় শিল্পকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নেয়। দেশিয় বস্ত্রের ওপর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ করারোপ করা হয়।

পক্ষান্তরে ব্রিটেনে প্রস্তুতকৃত আমদানি করা কাপড়ের ওপর কর ছিলো ২ থেকে ৪ শতাংশ। বিলেতের সস্তা সুতো আসতে থাকে। আর তা থেকে তৈরি হতে থাকে সস্তা কাপড়। হারিয়ে যেতে থাকে ঢাকাই মসলিন।

সান নিউজ/এনএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি পেছাল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্য...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা