আহমেদ রাজু
ঢাকাই মসলিনের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। প্রাচীনকালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিলো এর সুনাম। মসলিনের জাঁকালো সোন্দর্য মন জয় করেছিলো মিশরের ফারাও, গ্রিক ও মুঘল সম্রাটদের।
ফারাওরা মমিকে সমাহিত করার সময় মমির সারাশরীর ঢাকাই মসলিন দিয়ে মুড়িয়ে দিতো। গ্রিকরা তাদের দেবি মূর্তিকে পরিয়ে রাখতো মসলিন।
মসলিনের রমরমা ব্যবসার লোভে এদেশে ছুটে এসেছিলো গ্রিক, আর্মেনিয়, আরব ও ইংরেজ বণিক।
আরবের বণিক ও ঐতিহাসবেত্তা সোলায়মান নবম শতাব্দীতে তাঁর লেখা বই 'সিলসিলাতি -তাওয়ারিখ '—এ বাংলার মসলিনের নান্দনিকতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, হাজার বছর আগেই আরব দুনিয়ায় মসলিন কাপড়ের বার্তা পৌঁছে গিয়েছিলো। তখন জেদ্দা, মসুল ও বসরা বন্দর দিয়ে আসতো বাংলার মসলিন।
প্রাচীনকালে মসলিনকে বলা হতো—গঙ্গাবস্ত্র, গঙ্গাপট্টহি। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংরেজরা এই বস্ত্রের নাম দেয় মসলিন।
সান নিউজ/এমএইচ