আন্তর্জাতিক

সিদ্ধ খাবার খাওয়ার আহ্বান

সান নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে সমর্থনকারী রাজনৈতিক দল নাগরিকদের খাবার তেলে ভাজার পরিবর্তে সিদ্ধ, স্ট্রিমিং ও রোস্ট করে খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন

ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক দল পিডিআইপির একজন নেতা জানান, খাবার রান্নায় অবশ্যই সৃজনশীলতা ও তেলছাড়াই স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করতে হবে। তেলছাড়া রান্নার পদ্ধতি শেখানোর খাদ্য মেলায় তিনি এসব কথা বলেন। পিডিআইপি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সংসদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল।

চলতি বছরের শুরুতে দলটির নেতা মেগাবতী সুকর্ণপুত্রী জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কারণ তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন খাবার ভেজে খাওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ানরা লাইনে কেন দাঁড়ায়।

জানা গেছে, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তেলের দাম বেড়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। ফলে রপ্তানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত ও তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে পামওয়েলে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি ও রপ্তানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ক্ষমতাসীন সরকার। কারণ দেশটিতে খাদ্যে ব্যয় বেড়ে যাওয়াটা প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হচ্ছে। বিশ্বের বড় এ মুসলিম প্রধান দেশটিতে কয়েক দিন পরই শুরু হবে রমজান মাস।

তাছাড়া সোমবার এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমি আমার বাবাকে এক সময় প্রশ্ন করেছিলেম যে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি? তখন বাবা উত্তর দিয়েছিলেন, অবশ্য মানুষকে ক্ষুধা মুক্ত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: র‍্যাব গণমানুষের আস্থার বাহিনী

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়াতে একটি বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান, তবে এতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৬৪টি সরকারী সংস্থাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয় এবং সরকার অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের, বিশেষ করে জ্বালানি তেল, চাল, ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করে। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন উপায়ে বেসরকারী খাতের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ধস ইন্দোনেশিয়াকে বিপর্যস্ত করে। এর সূত্র ধরে সুহার্তো সরকারেরও পতন হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোয়োনোর নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতি উজ্জীবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য রয়েছে ব্যাপক হারে। ২০০৮ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ছিল প্রায় চার হাজার ডলার। অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত শিল্প। জাতীয় উৎপাদনে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক পাঁচ, ৪৫ দশমিক ছয় ও ৪০ দশমিক আট শতাংশ। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান তৃতীয় হলেও ৪২ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিতে নিয়োজিত। দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি বিশ লাখ।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

বিশ্ব প্রবীণ দিবসে “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর”

১ অক্টোবর ২০২৫ -এ উদ্বোধন হলো নতুন “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর” ।...

বাগেরহাটের কলা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

বিশ্ব প্রবীণ দিবসে “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর”

১ অক্টোবর ২০২৫ -এ উদ্বোধন হলো নতুন “বৃদ্ধাশ্রম/ প্রবীণ সেবা ঘর” ।...

উলিপুরে অম্বিকাচরণ রায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অম্বিকাচরণ রায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৯...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা