সান নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের একটি সমুদ্র সৈকতে আটকা পড়ে ২৯ তিমির মৃত্যু হয়েছে। প্রাণী সংরক্ষণকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শবে বরাতের তাৎপর্য
নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ ) গভীর রাতে দক্ষিণ দ্বীপের কাছে ৩৪টি তিমির সন্ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে দীর্ঘ পাখনাযুক্ত ২৯টি পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। সকালের জোয়ারে বাকি পাঁচটি তিমিকে পুনরায় ভাসানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়।
এক ফেসবুক পোস্টে বিভাগটি জানায়, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি সফলভাবে সম্পন্ন করা যাবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
মুখপাত্র ড্যাব উনটারবার্গ বলেন, প্রাণী সংরক্ষণকর্মীরা তিমিগুলোকে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো বর্তমানে পানি থেকে দূরে রয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, যদিও সৈকতের তীরে তিমি আটকা পড়া প্রাকৃতিকভাবে খুবই সাধারণ ঘটনা বলেও জানান তিনি।
প্রজেক্ট জোনহা নামের একটি স্থানীয় তিমি উদ্ধারকারী দল জানায়, সংরক্ষণ বিভাগের সঙ্গে তাদের একটি চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৈকতটিতে প্রায় ৭০০ তিমি আটকা পড়ে। যার মধ্যে ২৫০ তিমির মৃত্যু হয়। তিমির জন্য এই সৈকতটি কেন বিপজ্জনক সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই।
আরও পড়ুন: ৩০ ক্রু নিয়ে ডুবল আমিরাতের জাহাজ
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। মানচিত্রে এটি মহাদেশীয় রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বে তাসমান সাগরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ফিজি, টোঙ্গা এবং নুভেল কালেদোনি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া, নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত দেশ, এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত মানব উন্নয়ন সূচকের উপরের দিকে অবস্থান করে আছে। এছাড়া দেশটির জীবনযাত্রার মান, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিক্ষার হার, শান্তি ও অগ্রগতি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান একটি দেশ। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের শহরগুলো অন্যতম। নিউজিল্যান্ড মেরিনো প্রজাতির ভেড়ার জন্য সুবিদিত, যেগুলির পশম বিশ্বখ্যাত। দক্ষিণ দ্বীপের বিভিন্ন পাহাড়ে বহু বিশালাকার ভেড়ার খামার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভেড়ার পশম ছাড়াও নিউজিল্যান্ড উৎকৃষ্ট মানের মাখন, পনির ও মাংস উৎপাদন করে।
সান নিউজ/এনকে