সান নিউজ ডেস্ক: বগুড়ার ধুনটে আলমগীর হোসেন (৩০) নামে এক দুলা ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাসর রাতে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটয়ায় মামলার পর স্বামীর দুলা ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
শনিবার (২৩ এপ্রিল) অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আলমগীর হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভুরভভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে।
আর নববধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) নববধূর বাবা বাদী হয়ে একটি দায়ের করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে ধুনটের সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল ইসলামের (২৩) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে মেয়েপক্ষ বরের এ সমস্যার কথা জানত না। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিনই নববধূকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে বরের দুলা ভাই আলমগীর হোসেন নববধূকে ধর্ষণ করেন। সকালে ঘুম ভাঙ্গলে নববধূ বিষয়টি বুঝতে পেরে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা উল্টো মিথ্যা বলার অভিযোগে নববধূকে মারধর করেন।
আরও পড়ুন: স্বৈরশাসক জিয়া-এরশাদ নিজেদের রক্ষায় দল করেন
এর পরে গত ২৫ মার্চ রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক আলমগীর আবার নববধূর ঘরে এলে তিনি বিষয়টি তার বাবাকে মুঠোফোনে জানান। বাবার বাড়ির লোকজন ভুক্তভোগীকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে জামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে থানাহাজতে আটক মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন বলেন, বিয়ের রাতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার শ্যালক প্রতিবন্ধী। তাই মেয়েটি তার স্বামীকে পছন্দ করছেন না। এ কারণে তারা আমাদের কাছে তাদের মেয়েকে তালাকসহ মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করছেন। এ টাকা না দেওয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করছে ইন্দোনেশিয়া
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ধুনট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ