বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল স্থলবন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় লাঠি ও দায়ের কোপে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহমেদসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬-৭ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শ্রমিকরা হলো- স্থলবন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (৯২৫) সভাপতি রাজু আহম্মেদ, শ্রমিক নেতা হাসেম ও গোলাম।
আরও পড়ুন : চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে হঠাৎ করেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ধরে চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বন্দর থেকে পণ্য খালাস ৩ ঘন্টা বন্ধ ছিল। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় বন্দরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানায়, বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দু‘টি গ্রুপ রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও অন্যটির বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। বর্তমানে বন্দরের শ্রমিকরা এমপি গ্রুপের। মেয়র সমর্থিত কিছু শ্রমিক বর্তমান গ্রুপের সাথে যোগ দিয়ে কাজ করছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন ও বাইরের কিছু ব্যক্তি শ্রমিকের পোশাক পরে সকালে এসে পূর্বের শ্রমিক ইউনিয়নের হিসাব নিকাশ চান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শ্রমিক ইইনয়নের সভাপতি রাজুসহ কয়েকজনের উপর আক্রমণ চালিয়ে রক্তাক্ত করে।
আরও পড়ুন : বাড়ির ছাদে গাঁজা চাষ, গ্রেফতার ১
এ সময় শ্রমিকরা একজোট হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে হাসেম ও গোলাম নামে দুই শ্রমিককে আটক করে মারপিট করে আহত করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা বন্দরের পণ্য উঠানামা বন্ধ করে বন্দরের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বন্দরে এসে বন্দরের মধ্য থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বের করে দিয়ে বন্দরের নিয়ন্ত্রন নেয়। প্রায় ৩ ঘন্টা পর শ্রমিকরা বন্দরের কাজে যোগ দেয়। পরবর্তীতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বন্দর এলাকায় সতর্ক আছে।
আরও পড়ুন : মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ ভাইয়ের মৃত্যু
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন (অপরাধ) জানান, বন্দরে যেসব শ্রমিকরা কাজ করে, তাদের নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তবে পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ বন্দর সড়কে টহলরত অবস্থায় আছে।
তিনি আরো জানান, কি কারণে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সান নিউজ/জেএইচ