গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বলরাম গ্রামে নানা মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি থেকে খন্দকার সোয়ায়েব আলমগীর সীন (১২) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামগড়ে বিদেশী মদ-অবৈধ ফার্নিচার জব্দ
এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। নিখোঁজ খন্দকার সোয়ায়েব আলমগীর সীন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের জোতদারপাড়ার বাদশা আলমগীর ও মা মরিয়ম বেগম শিরিনা দম্পতির ছেলে এবং উলিপুর উপজেলার দারুল এহসান মডেল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ খন্দকার সোয়ায়েব আলমগীর সীনের নানা মোফাজ্জল হোসেন এ ঘটনায় বলেন, মেয়ে জামাই ঈদের আগের দিন খন্দকার সোয়ায়েব আলমগীর সীনকে নিয়ে আমার বাড়ীতে আসেন। মেয়ে এসেছে ঈদের পরের দিন।
সেদিনই সন্ধ্যার পর থেকেই নাতিকে আর খুঁজে পাচ্ছি না। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল আমার মেয়েটা। কি বলে ওকে শান্তনা দিবো, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না বলেই চোখের কোণে জমে থাকা জল মাটিতে গড়িয়ে পরে। সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বলরাম এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় ছেলেটি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
তাঁর চুল ছোট, মুখের আকৃতি গোলাকার, গায়ের রঙ্গ শ্যামলা, উচ্চতা ৪ ফিট ও ওজন ৪০ কেজি। সীনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, নিখোঁজের দিন আছরের নামাজ মসজিদে পড়ে বাড়িতে ফিরলে ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ দেখা ও কথা হয়। এরপর খেলার কথা বলে বের হয়ে যায়।
মাগরিবের নামাজের পরে বাড়িতে না ফিরলে ছেলের নানা-নানীকে খোঁজ নিতে বলি। তখন তাঁরা বলেন হয়তো আছে কোথাও। চিন্তা করো না। দেখো একটু পরেই হয়তো ফিরে আসবে। কিন্তু সে আর আসেনি। না দেখতে পাচ্ছি ছেলেকে না পারছি তাঁর সাথে কথা বলতে। একথা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে অচেতন হয়ে যান মরিয়ম বেগম।
আরও পড়ুন: সড়কে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ শিশুর নানা বৃদ্ধ মোফাজ্জল হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এইচএন