নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে দুই ডাকাত গ্রুপের সংঘর্ষে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। কোস্টগার্ড ঘটনাস্থল থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা ও কিছু দেশীয় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার হচ্ছে!
নিহত ডাকাতরা হলো, উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা এবং ডাকাত ফখরুল গ্রুপের সদস্য কবির (৩৬), সাহারাজ (৩৭) ও নবীর উদ্দিন ওরফে নূর নবী (৩৬)।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত উপজেলার ঘাসিয়ার চর এলাকায় এ গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন তিনটি মরদেহ উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরদেহ গুলো উদ্ধার করে চেয়ারম্যানঘাটে আনা হয়। মরদেহ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগে চরের নিয়ন্ত্রণ ছিল ডাকাত খোকনের হাতে। একপর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় সে। তারপর চর এলাকা নতুন করে নিয়ন্ত্রণ নেয় তার ভাই ফখরুল। কয়েক দিন আগে খোকন জামিন এসে আবার চরের নিয়ন্ত্রণ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ডাকাত ফখরুলও খোকন বাহিনীর মধ্যে বুধবার দিনগত রাতে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়। নিহত তিন জন ডাকাত ফখরুল গ্রুপের সদস্য।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাউকে ঢুকতে দেব না
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া কোষ্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফিউল কিঞ্জল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৫ডাকাত কে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর স্থানীয় সূত্র বলছে ওই ঘটনায় তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে থাকাকালীন তিন ডাকাত নিহত হওয়ার কোন আলামত দেখতে পাইনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে বলে শুনেছেন।
সান নিউজ/এনকে